পবাদ দিয়ে সকলের সামনে হেনস্থার পর সপ্তম শ্রেণির ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। পাঁশকুড়ার (Panskura) বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস আত্মহত্যা করার আগে একটি সুইসাইড নোটও লিখে যায় বলে খবর। সেই নোট এবং তার লেখা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে নেট মাধ্যমে। রবিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণেন্দুর মা। তারপরেই তদন্তে নেমে ওই সুইসাইড নোটটি নিয়েছে পুলিশ, যা নিয়ে এখন উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
পাঁশকুড়া কাণ্ডে (Panskura) পুলিশি তদন্তে নতুন মোড়
স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর একটি সুইসাইড নোট সামনে এসেছিল। সেখানে উপরে লেখা ছিল তার নাম, শ্রেণি এবং রোল নম্বর। তার নীচে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা, ‘মা আমি বলে যাচ্ছি যে আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম চুরি করিনি’। রবিবার তদন্তে নেমে ওই নোটটি পরিবারের থেকে নিয়েছে পুলিশ। তারপরেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
কী মত পুলিশের: পাঁশকুড়া (Panskura) থানা সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, নোটের লেখাটি সন্দেহজনক। হাতের লেখায় গরমিল থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। সেক্ষেত্রে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হতে পারে বলেও খবর পুলিশ সূত্রে। যেমনটা জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, উপরের নাম, শ্রেণি লেখা এবং নীচের লেখাটি একই মানুষের নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পাঁশকুড়া থানার (Panskura) পুলিশ।
আরো পড়ুন : শহিদ জওয়ানদের স্ত্রী-সন্তানদের জন্য ১ কোটি টাকার অনুদান! ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পরেই বড় সিদ্ধান্ত প্রীতির
রবিবার ঘটে ঘটনা: গত রবিবার পাঁশকুড়ার (Panskura) গোঁসাইবেড় বাজারের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু চিপস কিনতে বেরিয়েছিল বাজারে। ছাত্রের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, যে দোকানে সে গিয়েছিল, সেখানে চিপস ছিল না। দোকানদার সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) বারবার ডেকেও কোনো সাড়া পায়নি কৃষ্ণেন্দু। তখন দোকানের বাইরেই রাস্তায় একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখে তা কুড়িয়ে নেয় সে। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রকে চোর অপবাদ দিয়ে বাজারে মারধোর এবং কান ধরে ওঠবোস করানোর অভিযোগ ওঠে সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্করের বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন : কোরিয়ানদের সঙ্গে দীর্ঘ সাংষ্কৃতিক ইতিহাস রবিঠাকুরের, জাপানের পর সিওলেও বাঙালি আবেগ স্মরণ করালেন অভিষেক
কৃষ্ণেন্দুর মাও এই ঘটনায় প্রথমে তাকে সামান্য শাসন করে। এই ঘটনায় আত্মসম্মানে তীব্র আঘাত লাগায় বাড়ি ফিরে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে কৃষ্ণেন্দু। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। পরে দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কৃষ্ণেন্দুর কথাই সত্যি। রাস্তার পাশে চিপসের প্যাকেটটি পড়ে থাকতে দেখেই সে কুড়িয়ে নিয়েছিল।