বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হলো না শেষ রক্ষা। দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েও আবেদন খারিজ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে যাওয়া হলো অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে (Saygal Hossain)। ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ অনুযায়ী এদিন রাজ্য পুলিশের একটি বিশেষ দলের প্রহরায় সায়গল হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হলো রাজধানীতে। পাশাপাশি এদিনই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের (Enforcement Directorate) হাতে তাঁকে তুলে দেওয়া হবে বলে খবর।
গরু পাচার মামলায় উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এই কাণ্ডে সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। একজন সাধারণ দেহরক্ষী হয়েও তাঁর কাছ হতে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তির হদিশ পায় তদন্তকারী অফিসাররা এবং পরবর্তীতে সন্দেহের বশে তাঁকে হেফাজতে নেয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করে ইডি।
এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন করা হলে মেলে মঞ্জুরি! যদিও আদালতের এই রায়ের পর দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত যান সায়গল হোসেন। তবে মেলেনি সুরাহা। উভয় কোর্ট হতে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এদিন অবশেষে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হলো সায়গলকে।
সূত্রের খবর, এদিন বিকেল ৪:১৫ বাজতেই সায়গল হোসেনকে নিয়ে দিল্লির পথে রওনা দেয় পুলিশের একটি বিশেষ দল। এ ক্ষেত্রে এসআই (১ জন), এএসআই (১ জন) এবং ৬ জন কনস্টেবল সহ পুলিশের বিশেষ দলটির নিশ্চিদ্র প্রহরায় দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এক্ষেত্রে অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, তৃণমূল নেতার মেয়ের নামেও বিপুল পরিমাণ জমি এবং কোম্পানির খোঁজ মিলেছে, যা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের হয়েই কাজ করতেন সায়গল হোসেন। ফলে পরবর্তী সময়ে দিল্লির ইডি দফতরের সায়গলকে জেরা করার মাধ্যমে অনুব্রতর ওপর চাপ যে বহুগুণে বাড়বে, তা বলা বাহুল্য।