শুভেন্দুর বিশ্রামের পরই আসানসোলের হোটেলে প্রশাসনিক অভিযান! কারণ কী? ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ বলে তুঙ্গে বিতর্ক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কয়েকদিন আগে একটি দলীয় কর্মসূচির জন্য আসানসোল (Asansol) গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সময় সেখানকার একটি অভিজাত হোটেলে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলেন তিনি। এরপর সভামঞ্চে সেই হোটেলের কর্ণধারের আপ্যায়নের বেশ প্রশংসা করেন। বৃহস্পতিবার সেখানেই যৌথ অভিযান চালাল আসানসোল পৌর নিগম (Asansol Municipal Corporation) ও জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যাওয়ার পরেই হোটেলে প্রশাসনিক অভিযান

জানা যাচ্ছে, হোটেলের সকল কাগজপত্র, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, পানশালা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা কীভাবে, কেমন চলছে সেটা দেখা হয়। সেই সঙ্গেই কোনও রকম ফাঁকফোকর রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হয় বলে খবর। বিষয়টি ‘রুটিন চেকআপ’ বলে দাবি করেছে জেলা প্রশাসন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে চায়নি। তবে স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা।

বিজেপির (BJP) দাবি, সম্প্রতি আসানসোলে মিছিল ও জনসভা করতে এসে ওই হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। হোটেলের কর্ণধারের আপ্যায়নের প্রশংসাও করেন। সেই জন্যই কি চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি? এই বিষয়ে সেই শিখ ব্যবসায়ী কোনও মন্তব্য করতে চাননি বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য বড় খবর! পরীক্ষা সংক্রান্ত নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সংসদের

তবে পদ্ম ব্রিগেড এর নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র গন্ধ পাচ্ছে। তাদের দাবি, গত শুক্রবার বিরোধী দলনেতার কর্মসূচির আসানসোলের বুকে এক ইতিহাসের রচনা করেছে। সেটা তৃণমূল কংগ্রেসের চক্ষুশূল হয়েছে। সেই জন্যই ওই বিলাসবহুল হোটেলে হঠাৎ করে প্রশাসনিক অভিযান চালানো হল।

বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘আর কোনও হোটেলে এই অভিযান চালানো হচ্ছে কিনা সেটার জন্য আমরা অপেক্ষা করব’। তবে প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই নির্দিষ্ট হোটেল শুধু নয়, আসানসোলের অন্যান্য হোটেলেও অভিযান চালানো হয়েছে। বিষয়টিকে ‘আইওয়াশ’ বলে দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, ‘কী জন্য অভিযান সেটা প্রশাসনই বলতে পারবে। তবে বিজেপির কাছে আর কোনও ইস্যু না থাকায় প্রশাসনিক অভিযানকে ইস্যু বানাতে চাইছে। ব্যবসায়ীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয় না আমরা জানি। ওনারা শুধু ব্যবসাই বোঝেন। সেই জন্য তৃণমূল মনে করে না এই হোটেলগুলির সঙ্গে কোনও রাজনীতির যোগ আছে’।

এদিকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তৃণমূল, বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা। এই আবহে সম্প্রতি আসানসোলে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি যে হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়েছিলেন সেখানেই হঠাৎ প্রশাসনিক অভিযান ঘিরে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। বিজেপি এর পিছনে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’র গন্ধ পেলেও জেলা তৃণমূল বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ।