‘জীবন নিয়ে ফিরব ভাবিনি” ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা জানালেন শীতলকুচির ফার্স্ট পোলিং অফিসার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কোচবিহারের শীতলকুচির (Sitalkuchi) গুলিকাণ্ডে রাজনৈতিক চর্চা অব্যহত। গত শনিবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। তাঁর দাবি, অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বিজেপির ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ এর পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP) তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘বাহিনী ঘেরাও’ করার বক্তব্যকেই দায়ী করা হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর এহেন উস্কানিমূলক মন্তব্যেরই ফল সেদিনের গুলিকাণ্ড। যা নিয়ে শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে অভিযোগের কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি এখনও বিদ্যমান। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বক্তব্য,’৩০০-৪০০ জন লোক বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জড়ো হয়, তাঁরা বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্র কেঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারপরই গুলি চালানো হয় আত্মরক্ষার স্বার্থে।’

১০ এপ্রিল ঠিক কী হয়েছিল শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে, Polling officer Dilip Mazumder clarifies the incident on 10th April in Coochbihar's Sitaljuchi's booth no 126 - Bengali Oneindia

যদিও আদতে কি ঘটেছিল ? কেনই বা বাহিনী সেদিন গুলি চালিয়েছিল ? তার আসল রিপোর্ট এখনও সামনে আসেনি। এরই মধ্যে একটি হাড়হিম করার মত ভিডিও (Viral Video) সামনে এসেছে। যেটিতে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু মানুষ রয়েছেন লাঠি হাতে, যার মধ্যে মহিলাদের কেউ দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করেছিল, তা এই ভিডিওর মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না।যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচায় করেনি বাংলাহান্ট। তদুপরি অনেকেই শীতলকুচির ওই ১২৬ নম্বর বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে লাঠি হাতে উপস্থিতিকে নির্বাচনী আচারন বিধি লঙ্ঘন করা বলে মনে করছেন।

West Bengal Election 2021:What happened at booth number 126 of Sitalkuchi on April 10? | West Bengal Election 2021: ঠিক কী হয়েছিল ১০ এপ্রিল শীতলকুচিতে? শুনুন তৃতীয় পোলিং অফিসারের মুখে

একইসাথে প্রকাশ্যে এসেছে ওই বুথের ফার্স্ট পোলিং অফিসার (Polling Officer) অভিজিৎ বর্মণের একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার। দিনহাটা ২ ব্লকের বামন হাট ১নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাথরসন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এই অভিজিৎ বর্মণ। তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘‘সেদিন ওখান থেকে জীবন নিয়ে ফিরতে পারব ভাবিনি ৷’’ ওই বুথের থার্ড পোলিং অফিসার দিলীপ মজুমদারেরও একটি সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে। তাঁর মুখেও একই ভীতির সুর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দিলীপ মজুমদারের কথায়, ‘একটা সময় মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না, পরিবারের মানুষদের সঙ্গে আর দেখা হবে না।’


সম্পর্কিত খবর