বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধুমধাম করে বিয়ে করার পর কিছুদিন যেতে না যেতেই বিচ্ছেদের (divorce) সম্মুখীন হতে হয়েছে, বলিউডে এমন তারকার কমতি নেই। অনেকেই একাধিক বার বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। তা নিয়ে ফিসফিস গুঞ্জনও কম হয়নি। তবে জীবনটা ভাল ভাবে বাঁচার জন্য সেসব বিষয়ে কান দেননি কেউই।
এমনি একজন হলেন কবীর বেদী (kabir bedi) কন্যা পূজা বেদী (pooja bedi)। একটা সময় বলিউডে বেশ জনপ্রিয় হলেও দীর্ঘদিন বড়পর্দায় দেখা যায় না তাঁকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই ফারহান ফার্নিচারওয়ালার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পূজা। কিন্তু নয় বছর পরেই ভেঙে যায় সেই বিয়ে। তারপর থেকে একাই ছিলেন পূজা। সন্তানদেরও একা হাতেই বড় করে তুলেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পূজা বেদী জানান, বিচ্ছেদের সময় অনেকেই তাঁকে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন। ছেলে মেয়ের কথা ভেবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলতে বলেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, “বিয়ে ভাঙা নিয়ে সবারই একটা গোড়া মানসিকতা থাকে। উপরন্তু সেটা ১৮ বছর আগের কথা। তখন গোঁড়ামি আরো বেশি ছিল। আমার ছেলে মেয়েকে বোঝা বলা হয়েছিল। আমিও পালটা বলেছিলাম ওরা আমার সম্পদ।”
পূজা আরো বলেন, এই বিষয়ে তাঁর মা বাবার প্রভাব পড়েছিল তাঁর উপর। তাঁর বাবা কবীর বেদী চার বার বিয়ে করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন বিয়ে ভাঙার পরেও আবার ভালবাসা পাওয়া যায়। তবে তাঁর মা বাবা তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে এসেছেন বলেও জানান পূজা।
প্রথমে প্রতিমা গুপ্তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন কবীর বেদী। ১৯৭৪ সালে বিয়ে ভেঙে যায় তাঁদের। এরপর একে একে সুসান হামফ্রেজ ও নিকি বেদীকে বিয়ে করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। কিন্তু কোনো বিয়েই শেষপর্যন্ত টেকেনি। এরপর সত্তর বছর বয়সে এসে পারভিন দোসাঞ্জকে বিয়ে করেন তিনি।
অপরদিকে পূজা বেদীও এই মুহূর্তে জড়িয়েছেন এক সম্পর্কে। গোয়ার ব্যবসায়ী মানেক কন্ট্রাকটরের সঙ্গে বাগদানও সেরে ফেলেছেন তিনি। সম্ভবত খুব শীঘ্রই বিয়েটাও সেরে ফেলবেন পূজা। এখন বেশি সময়টা গোয়াতেই কাটান তিনি।