নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে এবার জনসংখ্যা আইন নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। জনসংখ্যা আইন লাগু হবে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেউই কোনো কথা বলেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী লালকেল্লা থেকে একটা ভাষণে দেশের বৃদ্ধি পাওয়ার জনসংখ্যা নিয়ে কথা বলেছিলেন।
সেখান থেকেই একটা ইঙ্গিত মিলেছিল যে সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে আসবে। আর এখন এক বিজেপি সাংসদ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে মুখ খুলেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যে সিএএ প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে বিজেপি সাংসদ সাক্ষী মহারাজ (Sakshi Maharaj) বিরোধী দলগুলিকে আক্রমন করেছেন। বিরোধী দলগুলিকে আক্রমন করতে গিয়েই সাক্ষী মহারাজ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলেন।
উন্নাওতে এক সভায় বিজেপি সাংসদ বলেন, হিন্দুস্তানে একটা প্রকল্পহিন্দুদের জন্য থাকলেও সেটা মুসলিমদের জন্যেও থাকে। সরকার এ সমস্থ বিষয়ে ধর্ম দেখে না। এর সাথে সাক্ষী মহারাজ একটি বিতর্কিত বক্তব্য মন্তব্যও করেন যা নিয়ে এখন রাজনৈতিক জগতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাক্ষী মহারাজ বলেন উনি বলেন এই দেশে ৪ টি বিবি আর ৪০ টি বাচ্চা নেওয়া চলবে না। আমরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে আসবো। উনি বলেন, ‘আমরা দুই আমাদের দুই সবার দুই’। ২০২৪ সালের আগেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনা হবে বলে জানান সাক্ষী মহারাজ।
সোমবার উন্নাওতে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যালয়ে কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় সভা থেকে এই মন্তব্য করেন। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে সাক্ষী মহারাজ বলেন, এটার যত প্রশংসা করা হবে ততই কম হবে। আমি এই আইনের পূর্ন সমর্থন করি। উনি বলেন, যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের দেশের বাইরে যেতেই হবে। জানিয়ে দি, দেশে বর্তমানে যত সমস্যা দেখা মিলছে তার জন্য দায়ী জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ। ভারত গরিবের সংখ্যা এখনও গোড়া থেকে নির্মূল না হওয়ার পেছনেও এই দুটি কারণ রয়েছে।
সেক্ষেত্রে দেশের মানুষ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন আনার জন্য বহু সময় থেকে দাবি করেছে। আর এখন সরকারের নিকটবর্তী মানুষজন তথা বিজেপি সাংসদরা এর উপর বড়ো ইঙ্গিত দিয়েছেন। জানিয়ে দি, সরকার জনগণনার কাজও শুরু করে দিয়েছে। জনগণনার কাজ শেষ হলেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন এর উপর কাজ শুরু হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।