বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) এখন ছুটি কাটাচ্ছেন নিজের পরিবারের সাথে। এইমুহূর্তে তিনি কোন ক্লাবের অংশ নন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল যখন তিনি বিশ্বকাপ (Qatar World Cup) শুরুর আগে ক্লাবের পরিকাঠামো, কোচ এরিখ টেন হাগ (Erik Ten Hag) এবং মালিকদের সমালোচনা করেছিলেন। এই মরশুমের বেশিরভাগ সময়টা ক্লাব ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রিজার্ভ বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন রোনাল্ডো। খুব বেশি সময় মাঠে কাটাননি তিনি।
এরপর বিশ্বকাপের পর্তুগালের অধিনায়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এটি ছিল তার কেরিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপ। প্রথম ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে গোল না পেলেও ভালো ফুটবল খেলেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচের দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পর্তুগালের জার্সিতে নিজের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সগুলির মধ্যে একটি করেছিলেন রোনাল্ডো।
এরপর নক আউটের দুটি ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রেখেই দল নামিয়েছিলেন পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। তার মধ্যে ‘শেষ ১৬’ পর্বে সুইজারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেও কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর ডিফেন্সের কাছে আটকে গিয়েছিল পর্তুগাল। রোনাল্ডোকে দ্বিতীয়ার্ধের নামিয়েও ম্যাচ জেতা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। এরপরই গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমী পর্তুগিজ কোচের রোনাল্ডোকে বেঞ্চে রাখার সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত সমালোচনা করেছেন।
এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি ‘রিসেপ তাইপ এর্দোগান’ (Tayyip Erdogan)। চলতি মরশুমে রোনাল্ডো নিজের পরিচিত ছন্দে খেলতে পারছেন না, সেই জন্য তাকে মাঠে নামানো হয়নি, এমন যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে তিনি বলেছেন, “রোনাল্ডোর প্রতিভার অপচয় করা হয়েছে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। রাজনৈতিক কারণে তার সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে। রোনাল্ডো সব সময় প্যালেস্টাইনের পক্ষ নিয়েছে, যার জন্য আজ ওর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়েছে। নয়তো রোনাল্ডোর মতো শারীরিক এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী একজন ফুটবলারকে শুধুমাত্র শেষ ৩০ মিনিটের জন্য মাঠে নামানোর আর কোনও কারণ থাকতে পারে না।”
যদিও সকলেই জানেন যে ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন আন্তর্জাতিক দ্বন্দ নিয়ে রোনাল্ডো কোনওদিনই প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করেননি। কিন্তু বহুবছর আগে একবার পর্তুগালের হয়ে ইজরায়েলের বির্যদ্ধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার পর মাঠের মধ্যে ইজরায়েল খেলোয়াড়দের সঙ্গে জার্সি বদল করতে রাজি হননি সিআরসেভেন। যদিও রোনাল্ডো অনেকক্ষেত্রেই বিপক্ষ দলের ফুটবলারদের সঙ্গে মাঠের মধ্যে জার্সি বদল না করে ইচ্ছুকদের ড্রেসিংরুমে তার সঙ্গে দেখা করার অনুরোধ জানিয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে রোনাল্ডো ইজরাইলের সঙ্গে জার্সি বদল করেননি কারণ তিনি রাজনৈতিকভাবে প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করেন। যদিও এই দাবির কোন যথার্থ ভিত্তি নেই।