বাংলার মতোই ভোট পরবর্তী হিংসায় জ্বলছে প্রতিবেশী এই রাজ্য! এখনও পর্যন্ত মৃত ৬, আহত ২৪

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছিল। এবার আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য উড়িষ্যাতেও হিংসার সেই একই ছবি উঠে আসতে শুরু করেছে। রাজ্যে গত মার্চ মাসেই পঞ্চায়েত ও পুরসভার ভোট শেষ হয়। এবং তার পর থেকেই সামনে আসতে থাকে একের পর এক হিংসার ঘটনা। গত শনিবার উড়িষ্যা রাজ্যের গঞ্জাম জেলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ফলে বিগত কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্য জুড়ে দুজন ব্যক্তির মৃত্যু এবং 24 জন ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর মিলেছে।

গত শনিবার গঞ্জাম জেলার বাসিন্দা সুধীর পাত্র (55) ও সুদর্শন (45) এক অনুষ্ঠান বাড়িতে যান। কিন্তু ফেরার পথে পালঝাড়ি নামক গ্রামে কয়েক জন দুষ্কৃতীর দল তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই বিজেডি সমর্থক ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীদের মতে, তাদের মৃত্যুর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনাটি সামনে আসার পরই সেখানে পৌঁছায় স্থানীয় থানার পুলিশ এবং বর্তমানে তারা তদন্ত চালাচ্ছে।

অতীতেও গঞ্জাম সহ আঙগুল এবং জয়পুর নামক জেলা জুড়েও বোমাবাজি থেকে শুরু করে খুনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। উড়িষ্যা ঢেঙ্কানালের পুরসভা চেয়ারম্যান বিজেপি নেতা জয়ন্ত পাত্রের বাড়িতে বোমা মারার ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার ঘটনায় বিজেপি সহ শাসক দল বিজেডি-ও যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত 15 এপ্রিল টাকা বিনিময়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে, এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনাও সামনে আসে।

হিংসা-প্রতিহিংসার কারণে এসকল ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। এই ঘটনা নিন্দনীয়।” এছাড়াও রাষ্ট্র বিজ্ঞান অধ্যাপক জ্ঞানরঞ্জন সাঁই বলেন, “অতীতে রাজ্যের রাজনৈতিক সংগঠনগুলি জনগণের নিকট ভালো উদাহরণ স্থাপন করলেও বর্তমানে অর্থ, ক্ষমতা এবং হিংসার ঘটনা রাজ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে চলেছে।”

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর