বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত বিনিয়োগ সবারই কাম্য। তবে অধিকাংশ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের বিনিয়োগের মাধ্যম হয়ে থাকে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের (Post Office) বিভিন্ন স্কিম। অনেকেই রয়েছেন যারা অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন শেয়ার মার্কেট বা মিউচুয়াল ফান্ডকে। তবে বাজার ওঠানামার সাথে সম্পর্কিত শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি সাপেক্ষ হতে পারে।
পোস্ট অফিসের (Post Office) ধামাকাদার স্কিম
তাই যারা নিশ্চিত ও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজছেন তাদের জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে পোস্ট অফিসের (Post Office) একাধিক প্রকল্প। যারা অবসরকালীন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাইছেন তাদের জন্য সেরা বিকল্প হতে পারে পোস্ট অফিসের পিপিএফ স্কিম (PPF Scheme)। পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড সম্পূর্ণ সরকার সমর্থিত একটি প্রকল্প।
আরোও পড়ুন : হয়ে যান সতর্ক! যাত্রীদের বড়সড় ঝটকা দিল রেল, দুর্ভোগ এড়াতে এখনই নিন জেনে
তাই এখানে আপনার টাকা থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ। পাশাপাশি ম্যাচুরিটির পর বিনিয়োগকারী পাবেন মোটা অংকের লাভ। পিপিএফ মূলত দীর্ঘমেয়াদী একটি স্কিম। ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ করতে হবে পিপিএফ-এ। বাৎসরিক নূন্যতম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত পিপিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারেন বিনিয়োগকারী।
আরোও পড়ুন : এক ম্যাচে একাই ১১ টি গোল! ফুটবল দুনিয়াকে চমকে দিল মেসি-পুত্র
বর্তমানে বাৎসরিক ৭.১% হারে সুদ প্রদান করা হচ্ছে পিপিএফ স্কিমে। বলে রাখা ভালো, পোস্ট অফিসের (Post Office) পিপিএফ স্কিম ট্যাক্স ফ্রি প্রকল্প। ধারা ৮০সি অনুযায়ী ১.৫ লাখ টাকার উপরে আয়কর ছাড় পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এখন প্রশ্ন হল খুব সহজেই কিভাবে পিপিএফে তৈরি করবেন ২০ লক্ষ টাকার ফান্ড?
২০ লক্ষ টাকার ফান্ড তৈরি করার জন্য প্রতি মাসে বিনিয়োগকারীকে জমা করতে হবে ৬০০০ টাকা করে। প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা অর্থাৎ বাৎসরিক ৭২ হাজার টাকা জমা করলে ১৫ বছর পর বিনিয়োগকারী ফেরত পাবেন ১৯,৫২,৭৪০ টাকা। এই সময়কালে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০,৮০,০০০ টাকা, অর্থাৎ মাত্র ১৫ বছরেই আপনার বিনিয়োগের পরিমাণ ডবল হয়ে যাবে।