বাংলাহান্ট ডেস্ক : টাকা বিনিয়োগের জন্য আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ বেছে নেন পোস্ট অফিস (Post Office) কিংবা ব্যাংককে। বিনিয়োগের মাধ্যমে হিসেবে অনেকেই মনে করেন পোস্ট অফিস (Post Office) বা ব্যাংকের থেকে সুরক্ষিত জায়গা আর কিছু নেই। পোস্ট অফিস (Post Office) বা ব্যাংকে টাকা বিনিয়োগ করা একদিকে যেমন লাভদায়ক, অন্যদিকে নিরাপদ।
অবিশ্বাস্য স্কিম পোস্ট অফিসের (Post Office)
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব পোস্ট অফিসের টাইম ডিপোজিট সম্পর্কে। আসলে পোস্ট অফিসের একটি ফিক্সড ডিপোজিট স্কিম (Fixed Deposit Scheme) হল এই টাইম ডিপোজিট। এই স্কিমে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে কীভাবে ১৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাবেন তা জেনে নেওয়া যাক।ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের মতোই পোস্ট অফিসের এই টাইম ডিপোজিট।
আরোও পড়ুন : এত্ত ছুটি! সামনেই টানা বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি? রইল হলিডে লিস্ট
তবে এই ডিপোজিটের সময়কাল ও সুদ ভিন্ন। আপনারা যদি এই স্কিমে ১ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে পাবেন বার্ষিক ৬.৯ শতাংশ সুদ। ২ বছরের জন্য ৭ শতাংশ, ৩ বছরে ৭.১ শতাংশ এবং ৫ বছরে ৭.৫ শতাংশ হারে সুদ মিলবে পোস্ট অফিসের টাইম ডিপজিটে। ৫ লক্ষ টাকা পোস্ট অফিসের (Post Office) টাইম ডিপোজিটে বিনিয়োগ করলে খুব সহজেই আপনারা ১৫ লক্ষ টাকা রিটার্ন পেতে পারেন।
আরোও পড়ুন : ডিভোর্সের চক্করে পকেট ফাঁকা! পিঙ্কিকে কত টাকা খোরপোষ দিয়েছেন কাঞ্চন? শুনলে ভিরমি খাবেন!
যদি আপনারা পাঁচ লক্ষ টাকা পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করেন তাহলে ম্যাচুরিটির পর সুদসহ ফেরত পাবেন ৭,২৪,৯৭৪ টাকা। তারপর সেই টাকা না তুলে আরো পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করে দিন। সুদ সহ ১০ বছর পর আপনারা ফেরত পাবেন মোট ১০, ৫১,১৭৫ টাকা। তারপর সেই টাকা পুনরায় পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করুন। ১৫ বছর পর আপনারা ফেরত পাবেন মোট ১৫,২৪,১৪৯ টাকা।
ম্যাচুরিটি শেষে বিনিয়োগের সময়সীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নিয়ম। এক বছরের টাইম ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটির পর সময়সীমা বৃদ্ধি করতে চাইলে ৬ মাসের মধ্যে করতে হবে। ২ বছর মেয়েদের টাইম ডিপোজিটের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসকে আপনাকে ১২ মাসের মধ্যে সেটি জানাতে হবে। তিন বছর ও পাঁচ বছরের টাইম ডিপোজিটের সময়কাল বৃদ্ধির জন্য আপনাকে ১৮ মাসের মধ্যে জানাতে হবে পোস্ট অফিসে।