বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দেশের শহরে বসবাসকারী মানুষ এবং গ্রামে বসবাসকারীদের মধ্যে দারিদ্রের (Poverty) পরিমাণ কমেছে। সম্প্রতি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তথা SBI এমনই একটি রিপোর্ট সামনে এনেছে।
দেশে ক্রমশ কমছে দারিদ্র (Poverty):
SBI ওই রিপোর্টে জানিয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের শহুরে এবং গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্রের (Poverty) হার কমেছে। বিশেষ করে বিহারে এই পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। অপরদিকে, উত্তরপ্রদেশের কিছু এলাকায় মিশ্র পরিসংখ্যান দেখা গিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মাসিক ভিত্তিতে ক্যাপিটা ইনকামের পার্থক্য কমেছে। যেখানে ২০০৯-১০ সালে, শহর ও গ্রামের মধ্যে এই আয়ের পার্থক্য ছিল ৮৮.২ শতাংশ। এখন তা কমে ৬৯.৭ শতাংশ হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (DBT), গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নতি, কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য সরকারের করা প্রচেষ্টার মতো বিভিন্ন কারণে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া গ্রামের মানুষের ব্যয়ও বেড়েছে। যার প্রভাব পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সর্বনাশ! ঘুষকাণ্ডে বিপদ বাড়ল আদানির, নিউ ইয়র্ক আদালত দিল বড় নির্দেশ
সামগ্রিক দারিদ্র হ্রাসের প্রত্যাশা: দারিদ্র (Poverty) হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে, রিপোর্টটি ২০২৪ অর্থবর্ষের জন্য গ্রামীণ এবং শহর উভয় ক্ষেত্রেই দারিদ্রের হারে একটি বড় হ্রাসের বিষয়টিকে সূচিত করেছে। গ্রামীণ দারিদ্র গত বছরের ৭.২ শতাংশ থেকে কমে ৪.৮৬ শতাংশ হয়েছে। যেখানে শহুরে দারিদ্রের পরিমাণ ৪.০৯ শতাংশ। যা ২০২৩ অর্থবর্ষে ছিল ৪.৬ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানগুলি দেখে, অনুমান করা হয়েছে যে ভারতের মোট দারিদ্রের হার এখন ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সিডনি টেস্টের মাঝেই বড় খবর! অবসর নিলেন ভারতের এই ক্রিকেটার, খেলেছেন KKR-এর হয়েও
উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে চ্যালেঞ্জ: রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিহারে দারিদ্রের (Poverty) পরিসংখ্যানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, তা বেশ কম। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে, এখনও কম সঞ্চয় হারের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যার পেছনে কারণ উচ্চ অভিবাসন বলে মনে করা হচ্ছে।