বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের পর টলিউডের (Tollywood) আরো এক প্রবীণ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসন্তোষ, অভিমান ভরা কিছু কথা শেয়ার করেছেন পরিচালক প্রভাত রায় (Prabhat Roy)। তাঁর হাত ধরে যাদের উত্থান তাদের বেশিরভাগই কোনো খোঁজ খবর রাখে না তাঁর, অভিযোগ করেছেন পরিচালক।
টলিউডের পরিচালকদের মধ্যে যথেষ্ট খ্যাতনামা তিনি। বহু জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন সিনেপ্রেমীদের। তাঁর হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রীরা, যারা এখন শুধু টলিউডেই না, বলিউডেও কাজ করছেন। প্রভাত রায়ের ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পা রেখে আজ ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারিতে জায়গা করে নিয়েছেন অনেকে।
কিন্তু প্রবীণ পরিচালকের আক্ষেপ, এখন তাঁর বয়সকালে মাত্র কয়েকজন বাদে আর কেউই কোনো খোঁজ খবর নেয় না। অনেকে আসবেন বলে কথা দিয়েও আসেন না। যারা খোঁজ খবর নেন তাদের নাম নেওয়ার পাশাপাশি ‘অকৃতজ্ঞ’দের নামও ফাঁস করে দিয়েছেন পরিচালক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মনে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলেমেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গাঙ্গুলী, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তার মধ্যে তিন জন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয় না।’
পরিচালকের এই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রভাত রায় জানান, গত এপ্রিল মাসে প্রয়াত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী। ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষই কোনো খোঁজ খবর নেননি। জিৎ খোঁজ নেননি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আসবেন বলেও আসেননি।
আবার তিনি জানান, ঋতুপর্ণা, টোটা রা ঠিকই এসে দেখা করেছিলেন। রঞ্জিৎ মল্লিক জানানো হয়নি, তাও তিনি এসে দেখা করে গিয়েছিলেন। আসতে না পারলেও ফোনে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। আর কেউই একটা খোঁজ পর্যন্ত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি বলে অভিযোগ করেন প্রভাত রায়।
তাঁর পরিচালিত ছবিগুলির মধ্যে প্রতিদান, শ্বেত পাথরের থালা, পিতৃভূমি, শুভদৃষ্টি, লাঠি, সেদিন চৈত্রমাস এর মতো ছবি বেশ জনপ্রিয়। দু বার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেষ তিনি। প্রভাত রায়ের পোস্টের উত্তরে আবারো একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন কবীর সুমন। পালটা আগ্রহ দেখিয়েছেষ পরিচালকও।