বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমাদের সবার জানা কুকুর খুব বিশ্বস্ত প্রানী। আর প্রভুর জন্য সে প্রানও দিতে পারে। এবার এরকমই এক ঘটনার সাক্ষী রইল গোটা বিশ্ব। ঘটনাটি কানপুরের (Kanpur) বারার মালাপুপুর এলাকার।
জানা গিয়েছে, এক চিকিৎসক দম্পতি একটি কুকুরকে বাড়িতে আদরের সাথে পুষত। তারা তাকে খুব ভালবাসত ও যত্নও করত। আচমকাই তার মনিবের পত্নী অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। সেই শোকে তাদের পোষা কুকুরটি বাড়ি থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করলেন। কুকুরের এই মৃত্যু সংবাদটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংবাদটিতে অনেকেই অবাক হয়েছেন, আবার অনেকে বিশ্বাসও করেনি।
হামিরপুরের চিফ মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাজকুমার সচান, তার পত্নী ডাঃ অনিতা রাজ ও কানপুরে বাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন অনিতা রাজ। তিনি বেসরকারি হাসপাতালে অনেকদিন ধরেই চিকিতসারত ছিলেন। বুধবার তিনি মারা যান।
পোষা কুকুরটিকে তারা ভালোবেসে ডাকাত জয়া বলে। মনিবের পত্নীর মৃতদেহ ঘরে ঢুকতেই খুব জোরে জোরে ডাকাডাকি করতে শুরু করে। মৃত্যু খবরে পরিবারের সদস্যরা খুব ভেঙ্গে পড়ে। তারাও কান্নাকাটি শুরু করে। কুকুরটিও খুব কাঁদছিল। পরিবারের লোকেরা কুকুরটিকে জোর করে নিয়ে গিয়ে একটি স্টোররুমে বন্ধ করে দেয়। দেহ নিয়ে সবাই যখন বাড়ি থেকে চলেও গেলেন, তখন জয়া ৪ তলা থেকে নীচে ঝাপ দেয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ডাঃ রাজকুমার সচান বলেন, তার স্ত্রী ১৩ বছর আগে জয়াকে রাস্তার ধার থেকে তুলে এনেছিলেন। প্রায় ১ বছর আগে জয়ার গায়ে পোকা হয় এবং নানান ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল। আমার স্ত্রী তাকে সুস্থ করেছিল। জয়া আমাদের বাড়িতে একজন অতিথি হিসাবেই থাকত।