বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি ভারত সফর নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক ছিল অস্ট্রেলিয়া দল। ভারতে আসার আগে সিডনিতে ভারতের পিচগুলির মতো টার্নিং ট্র্যাক তৈরি করে তাতে অনুশীলন করেছিলেন স্টিভ স্মিথরা। ভারতে এসেও টানা অনুশীলনে নিজেদেরকে ডুবিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু আসল সময় এসে দেখা গেল যে তাদের অনুশীলন কোনও কাজেই লাগলো না। নাগপুরে স্পিনের ফাঁসে ফেঁসে ইনিংস ও ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে হারতে হলো অজিদের।
গোটা ম্যাচে অজিদের মধ্যে একমাত্র স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) ছাড়া কাউকে দেখে মনে হয়নি যে স্পিনার বিরুদ্ধে কি করে খেলতে হয় তার আন্দাজ তাদের আছে। প্রথম ভারত সফরে আসা মার্নাস লাবুশানেও (Marnus Labuschagne) নিজের মতো করে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই চেষ্টা একেবারেই ফলপ্রসু হয়নি। দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের আগে অনেকগুলি জায়গায় খাটতে হবে অজিদের।
অস্ট্রেলিয়া ভারতের মাটিতে পা রাখার পর নিজেদের নেটে আহ্বান জানিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটে ‘নকল অশ্বিন’ বলে পরিচিত মহেশ পিথিয়াকে (Mahesh Pithiya)। বরোদার এই স্পিনারের বোলিং ভঙ্গি প্রায় হুবহু রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravi Ashwin) মতো। তার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে অনুশীলন করে আসল অশ্বিনকে খেলার পরিকল্পনা সাজিয়েছিল অজিরা। এরপর অজি স্পিনার ন্যাথান লিয়নকে অনুরোধ করে নিজের আদর্শ অশ্বিনের সঙ্গেও ছবি তুলেছিলেন মহেশ।
কিন্তু নাগপুর ম্যাচে দেখা গেল নকল অশ্বিনের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রস্তুতি আসল অশ্বিনের বিরুদ্ধে কোনও কাজে আসলো না। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে নেওয়ার পরের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে গোটা ম্যাচে মোট ৮ উইকেট নিলেন তারকা অফস্পিনার। গোটা সিরিজে যে তিনি অজিদের ভালো বেগ দেবেন তিনি সেটা নাগপুরেই স্পষ্ট হয়ে গেল।
এই সিরিজে অশ্বিন দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে ৪৫০ টেস্ট উইকেটের গন্ডি পেরিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নেওয়া ফাইফারটি ছিল তার কেরিয়ারের ৩১ তম ফাইফার। এই মুহূর্তে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর না নেওয়া বোলারদের মধ্যে একমাত্র জেমস অ্যান্ডারসনের তার থেকে বেশি ফাইফার রয়েছে।