রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার প্রধান আচার্য পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে! শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রধান আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত (Acharya Laxmikant Dixit) পাড়ি দিলেন না ফেরার দেশে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। আচার্য লক্ষ্মীকান্ত বারাণসীতে শনিবার সকাল ৬ টা বেজে ৪৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মণিকর্ণিকা ঘাটে আচার্য লক্ষ্মীকান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

অযোধ্যা ও কাশীতে শোকের ঢেউ: জানিয়ে রাখি যে, শনিবার সকালে আচার্য লক্ষ্মীকান্তের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কাশী ও অযোধ্যাবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। গত জানুয়ারি মাসে, লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত অযোধ্যায় নির্মিত বিশাল রাম মন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পুজোয় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁর নির্দেশনায় এবং মন্ত্র উচ্চারণে পুজো অনুষ্ঠিত হয়।

Pradhan Acharya of Ram Mandir passed away.

শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ: আচার্য লক্ষ্মীকান্তের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তিনি শোকজ্ঞাপন করে জানান, সংস্কৃত ভাষা এবং ভারতীয় সংস্কৃতিতে তাঁর অবদানের জন্য আচার্যজিকে সর্বদা স্মরণ করা হবে।

আরও পড়ুন: উন্মুক্ত ব্রিজে বিকল যাত্রীবোঝাই ট্রেন! জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবার প্রাণ বাঁচালেন চালক, ভাইরাল ভিডিও

লক্ষ্মীকান্তের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে কাশীতে বসবাস করছে: জানিয়ে রাখি যে, আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতের পরিবার বহু প্রজন্ম ধরে কাশীতে বসবাস করছে। আচার্য লক্ষ্মীকান্ত বারাণসীর মীরঘাটে অবস্থিত সাংবেদা কলেজের বর্ষীয়ান শিক্ষক ছিলেন। এই কলেজটি কাশীর রাজার সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: প্যাট কামিন্সের হ্যাটট্রিকেই লুকিয়ে রয়েছে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সংকেত! ঘটল বিরাট কাকতলীয় ঘটনা

যজুর্বেদের ভালো পণ্ডিত: আচার্য লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতকে সমগ্র বারাণসী জুড়ে বেদে অত্যন্ত পারদর্শী বলে মনে করা হত। লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিতকে যজুর্বেদের ভালো পণ্ডিতদের মধ্যেও গণ্য করা হয়। হিন্দু ধর্মের যে কোনোও ধরণের পুজো পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী ছিলেন। তিনি তাঁর কাকু গণেশ দীক্ষিতের কাছ থেকে বেদ ও আচার-অনুষ্ঠানের দীক্ষা নিয়েছিলেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর