বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বকেয়া টাকা ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য (Central-State) সংঘাত আজকের নয়। তৃণমূলের (Trinamool Congress) এই অভিযোগ বহুদিনের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেনা বাংলা। বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা। রাজ্যের সব জিএসটির টাকা তুলে নিয়ে যায় কেন্দ্র। স্বাস্থ্য খাতেও টাকা দিচ্ছেনা মোদী সরকার। এইরকম আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এসবের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) নিয়ে নতুন সমস্যায় রাজ্য।
গত ২২ ডিসেম্বর রাজ্যগুলির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রের আধিকারিকরা। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকেই কিষান নিধি যাতে আরও ভালোভাবে কার্যকর হয় সেই দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। প্রতিটি গ্রামে একজন করে ভিলেজ নোডাল পার্সন নিয়োগ করে তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্যা হল, কেন্দ্রীয় প্রকল্প, কেন্দ্রের কৃতিত্ব এই ভিলেজ নোডাল পার্সন নিয়োগের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকে। কেন্দ্র হাত তুলে নিয়েছে।
একেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাজ্যের বেহাল দশা। এরই মধ্যে নতুন করে নির্দেশনামা আসায় চিন্তা বেড়েছে রাজ্যের। কারণ এই নোডাল অফিসারদের বেতন বাবদ বছরে কমপক্ষে ১২ কোটি টাকা খরচ হবে। আর সেই অর্থের সংস্থান করতে হবে রাজ্যকেই।
প্রসঙ্গত, পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে পিএম কিষান প্রকল্পের সুবিধা পান বাংলার প্রায় ৪৫ লক্ষ কৃষক। তবে কিষান নিধি প্রকল্পে বাংলায় গ্রহণ হয়নি এমন আবেদনের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ। এই সকল আবেদনকারীরা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই বিষয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে প্রয়োজনীয় সব নথি না থাকায় বা অনলাইন আবেদনে ভুল হওয়ায় আবেদন গুলি খারিজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : টাটা শীত! টানা ৩ দিন বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের এই সব জেলা: এক নজরে আবহাওয়ার খবর
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথি যাচাই করে দেখতে বা অনলাইনে এই সমস্ত ভুল-ত্রুটি দূর করতেই ভিলেজ নোডাল পার্সন নিয়োগ করতে বলছে কেন্দ্র সরকার। তবে তার জন্য যে বিপুল অর্থ খরচ হবে তার ভার নিতে রাজি নয় কেন্দ্র। এখন এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ পড়া ওই আবেদনকারীরা আদেও ভব্যিষৎ এ এর আওতায় আসবে কি না সেই নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালানোর বাড়তি খরচ আমাদের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়াটা অন্যায়। আমাদেরও কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কোনও সমস্যা হয় না! পিএম কিষান প্রকল্পের বিষয়গুলি ভীষণ জটিল। তাই বহু ক্ষেত্রেই অনেক কৃষক বঞ্চিত থেকে যান। তাই রাজ্যের উপর দায় চাপিয়ে তার সাফল্য নিজের নামে করতে চাইছে মোদী সরকার।’