বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিজের দুর্গে বিজেপি জিতবেই এমনটাই আশা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কিন্তু বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতে না হতেই একেবারে ডাহা ফেল করল দিলীপের দুর্গ। তাই এখন দিলীপের দুর্গের রাশ উঠেছে তৃণমূলের হাতে, একেবারে অহংকার চূর্ণ হয়েছে। তৃণমূলের জয়ের জন্য দলের সাংগঠনিক দক্ষ তাঁকেই তুলে ধরা হচ্ছে তবে যাই হোক না কেন বিজেপির পরাজয়ের জন্য যেন অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে প্রদীপ পট্টনায়েক।
তাই নামটা হয়তো অনেকের কাছের অজানা কারণ সে ভাবে কখনওই দলের হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করলেও তাঁর মর্যাদা পাননি। এক সময় গোটা খড়্গপুরে সাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে সংগঠন করেছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও দল যখন রাজ্যে মহিরুহ হয়ে উঠল ঠিক তখনই প্রদীপ পট্টনায়ক ব্রাত্য করে রাখল বিজেপি।
বিজেপির রাজ্যে জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ছিলেন প্রধান কাণ্ডারি, যখন বিজেপির হয়ে কেউ কোনও কথাই বলত না কিংবা বিজেপির নাম শুনলেই নাক ছিটকে যেত ঠিক তখনই প্রদীপ পট্টনায়েক একমাত্র নেতা যিনি সাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে বিজেপির হয়ে প্রচার চালাতেন, সংগঠন করতেন। তার পর থেকে আজ অবধি বিজেপি এখন রাজ্যে ঝড় তুলেছে অথচ সেই দলে ঠাঁই পেলেন না প্রদীপ পট্টনায়েক।
উপনির্বাচনে বিজেপি র প্রার্থী হয়ে দাঁড়ালেন একসময়ের তৃণমূলের নেতা প্রেম চন্দ্র ঝাঁ। যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, অথচ যে প্রদীপ পট্টনায়েক দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির হয়ে কাজ করলেন তাঁকে দল সাসপেন্ড করে সরকার নিজের বিপদ নিজেই দেখে আনল বিজেপি। যে দলকে আজ তিনি দাঁড় করিয়েছিলেন সেই দলে আজ তাঁর কোনও জায়গা নেই।
শোনা যায় লোকসভা ভোটে দিলীপ ঘোষের প্রার্থী হওয়া নিয়ে নাকি পট্টনায়েকের তীব্র বিরোধিতা ছিল, ব্যস তার পর থেকেই বিজেপির চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন এই প্রদীপ পট্টনায়েক। তাই নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ালেও পট্টনায়েক সেভাবে ভোট পাননি। আর এ ভাবেই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল খড়্গপুরে আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে উপনির্বাচনে একেবারে ছক্কা হাঁকাল শাসক বাহিনী।