বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সিপিএমের একাধিক পদের দায়িত্ব সামনে এসেছিলেন কারাট দম্পতি। অতীতে যেখানে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হন প্রকাশ কারাট, তো অপরদিকে তাঁর স্ত্রী বৃন্দা কারাটও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলান। তবে বর্তমানে তাদের দায়িত্ব অনেকাংশে ছেঁটে দিলো দল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সীতারাম ইয়েচুরি মনোনীত হলেও সংগঠন সামলানোর মূল দায়িত্ব ছিল প্রকাশ কারাটের ওপর। তবে বর্তমানে তাঁর পাশাপাশি কেরলের সিপিএম নেতা বিজয় রাঘবনকেও সেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হল। গতকাল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের অন্দরের একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপরদিকে, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় মানুষের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন প্রকাশ কারাট পত্নী বৃন্দা। এক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গেও সদ্য বাংলা থেকে উঠে আসা অপর এক সিপিএম নেতা রামচন্দ্র ডোমকে কাজটিতে জুড়ে দেওয়া হয়। বলে রাখা ভালো, পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবছর প্রথম পলিটব্যুরোতে স্থান পান রামচন্দ্রবাবু। এক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষের দায়িত্বের পাশাপাশি তাঁকে মেডিকেল সেলের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বর্তমানে যখন দেশজুড়ে ‘অগ্নিপথের’ জেরে সর্বত্র আন্দোলন চলছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দলের পক্ষ থেকে বৈঠকটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে আসন্ন ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের’ প্রসঙ্গ। এক্ষেত্রে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীকালে সিপিএম-এর পক্ষ থেকে প্রতিনিধি পাঠানো হয়।
এই প্রশ্নের উত্তরে গতকাল সীতারাম ইয়েচুরি জানান যে, বর্তমানে যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক দল বিরোধিতায় নেমেছে, সেখানে তারা যদি বৈঠকে প্রতিনিধি না পাঠাতেন, তবে বিরোধীতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারত, যেমনটা দেখা গিয়েছিল গত বছর বিধানসভা ভোটে। এমনকি আগামী মঙ্গলবারের বৈঠকে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক স্বয়ং উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।