প্রশান্ত কিশোর একজন নির্বাচনী কৌশলবিদ। যিনি আপাতত পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জীকে জেতানোর চেষ্টায় নেমে পড়েছেন। তবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এখন চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। তাঁকে নিয়ে ‘দার্জিলিং ক্রনিকল’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দার্জিলিং ক্রনিকল গোর্খল্যান্ড্যান্ডকে রাজ্যের রূপ দেওয়া সমর্থনকারীদের একটি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে যে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপিএসসি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন লোকের সাথে যোগাযোগ করছে যাদের ফলওয়ার্স বেশি। যোগাযোগ এ জন্যেই করার চেষ্টা হচ্ছে যাতে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ হয়ে কনটেন্ট প্রকাশিত করা যায়। এর জন্য এই কাজের জন্য টাকাও অফার করা হচ্ছে।
সোজা কথায় অনেক নিউজ পোর্টালে টাকার বিনিয়মে তৃণমূলের পক্ষের খবর সম্প্রসারিত করতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। নিরপেক্ষ মিডিয়াকে এক পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে দার্জিলিং ক্রনিকল এর তরফে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। এই কারণেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাটি ‘সোশ্যাল মিডিয়া তৃণমূলের পক্ষে হওয়া তৈরি করার চেষ্টায় নেমে পড়েছে। IPSC এর সদস্য নিকিতা চ্যাটার্জীর তরফ থেকে অনেককে ইমেইল করা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। প্রমাণ হিসেবে ‘দার্জিলিং ক্রনিকল’ স্ক্রিন শটও প্রদান করেছে।
এই ইমেলটি দাবি করেছে যে এটি একটি রাজনৈতিক সংস্থা পাঠিয়েছে। এটি গণতন্ত্র ও প্রশাসনকে শক্তিশালী করতে কাজ করার বিষয়ে কথা বলেছে। এছাড়াও, ইমেলটিতে বলা হয়েছে যে পোর্টালটি তার ফেসবুক গ্রুপের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত এবং ‘বেঙ্গল প্রাইড’ এর অর্থ ব্যাখ্যা করা উচিত। ইমেলের ভাষাটি দেখায় যে এটি আইপিএসি প্রেরণ করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
ইমেলে কাজ করার পরিবর্তে টাকা প্রদান করার কথাও বলা হয়েছে। আসলে তৃণমূলের সাথে প্রশান্ত কিশোরের মোটা টাকার বিনিময়ে মমতাকে জেতানোর চুক্তি হয়েছে। সেই চুক্তির কারণেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা টাকার বিনিময়ে খবর তৈরি করিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।