বাংলা হান্ট ডেস্ক ঃ সাম্প্রতিক তৃণমূলের ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভরাডুবির পর। ভারতবর্ষের অন্যতম স্ট্যাটিস্টিক দু বছরের জন্য চুক্তি করেছেন তৃণমূল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন এবং তিনি জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোরের কথা মতো তিনি মানুষের সাথে কাজ করবেন।
ভোটের ময়দানে লড়াই করবেন সাম্প্রতিক দিদিকে বলো নামে একটি ওয়েব পোর্টাল ও একটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বাংলায় উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে যে আসনগুলোতে বিজেপি জিতেছে সেই আসন গুলোর উপর কড়া নজর রেখেছে প্রশান্ত কিশর তিনি জানিয়েছেন যে বাংলার উন্নয়নে তৃণমূলের যে ভূমিকা কে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বাংলার গরীব এবং সাধারণ মানুষের মন বুঝতে বাংলা শিখছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কারণ তিনি যদি গ্রাম অঞ্চলে গিয়ে বাংলায় কথা না বলতে পারেন তাহলে তাদের কি চাওয়া পাওয়া সেটা তিনি তার স্ট্যাটিক শীষের মধ্যে তুলে ধরতে পারবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে দফায় দফায় বৈঠক করে তার রূপরেখা ঠিক করছেন এখন দেখার বিষয় ২০২১এর বিধান সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈতরণী পার করতে পারে কিনা।
এই প্রশ্নের যেমন উজ্জ্বলতম সাফল্য আছে তেমন একাধিক ব্যর্থতা ও আছে প্রশান্তের।এখন দেখার বিষয় ২০২১ এ বিধানসভা তৃণমূলের বৈতরণী পার করে নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে পারে কিনা।
বিজেপি নেতৃত্ব থেকে অর্জুন সিং সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্ট্যাটাস দেখে না। কারন তাদের দাবি যে বিদেশ থেকেও যদি কাউকে আনা হয় স্ট্যাটিস্টিক তাও তৃণমূল সরকার করতে পারবেন না ২০২১ এ।
বিজেপি সরকার গড়বে বলে দাবী করা হয়েছে কিন্তু প্রশান্ত কিশোর যদি বাংলায় মানুষের মন বুঝতে পারে তাহলে কিছুটা হলেও বিজেপির পক্ষে চাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।