বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সূত্রে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। কারও নাম না নিয়ে অভিনেতার আক্ষেপ, অভিনেতা হয়েও মানুষ চিনতে ভুল করেছেন।
সূত্রে খবর, কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রসেনজিত্কে সরিয়ে আনা হয়েছে রাজ চক্রবর্তীকে। অথচ তাঁকে জানানো হয়নি বলে দাবি করলেন অভিনেতা। প্রসেনজিত্-এর কথায়,”মুকুল রায়ের সঙ্গে প্লেনে দেখা হওয়ার কথা আমিই বলেছি। মিডিয়া টু প্লাস টু ফোর করেছে। কোনও নির্দিষ্টি রাজনৈতিক দল নয়।মানুষ হিসেবে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা তোমার কাছে যেতে পারি না! এর মানে কি তার পিছনে একটা গল্প রয়েছে? এটা আজীবন করেছি। একটা মানুষের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলব না?”
টলিউডে প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়ই প্রথম সারির প্রথমে পরে। প্রযোজক ও কলাকুশলীদের সমস্যার সমাধানেও সব সময় এগিয়ে এসেছিলেন তিনি। প্রসেনজিত্ বলেন, “সারাজীবন ভুল বোঝাবুঝি অবসানের চেষ্টা করে গিয়েছি। কারও ইগো ক্ল্যাশ হলে কথা বলেছি। সত্যি বলতে কোনও রাজনীতিবিদ আমায় চাপ দেননি।এই সম্মানটা কাজ থেকে পেয়েছি”।
যাদবপুর থেকে তিনি প্রার্থী হবেন বলে জল্পনা চলছিল। বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। প্রশ্নটা কেড়ে নিয়ে অভিনেতা বলেন,”যাদবপুর থেকে আমি দাঁড়াচ্ছি না, এটা বারবার বলেছি। আর বাবার রাজনৈতিক দলে যোগদানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। বাবা তৃণমূলেও ছিলেন। কিন্তু ওনার সঙ্গে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে যাইনি। উনি যে পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্মে গিয়েছেন, আমি ইউটিউব থেকে জেনেছি। আমাদের ওই ব্যাপারটা নেই। প্রফেশনালি কেউ সিদ্ধান্ত নিলে সেটা তাঁর দায়িত্ব”।
দুর্গাপূজায় মুক্তি প্রাপ্ত ছবি ‘গুমনামী’র অভিনেতা আরও বলেন,”অবাক লাগছে যাঁদের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম, অভিনেতা হিসেবে তাঁদের যাচাই করতে পারিনি। যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন, আমি নিজেকে চেনাতে পারলাম না। একজন মানুষের কথা মনে হচ্ছিল, নিজেকে সরিয়ে নিতে পেরেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। অভিমানটা এখনও আছে। সেটা যাবে না। বিশেষত এই বয়েসে যাওয়াটা মুশকিল”।