বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটকুশলী হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপক খ্যাতি প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে সবুজ ঝড় উঠেছিল, তার নেপথ্যে অনেকখানি হাত ছিল তাঁর। যদিও চব্বিশের লোকসভা ভোট নিয়ে তিনি যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা মেলেনি। রেজাল্ট বেরোতেই দেখা যায়, ওলটপালট হয়ে গিয়েছে সব পূর্বাভাস। এবার বৃহস্পতিবার বিরাট ঘোষণা করলেন পিকে (PK)।
এতদিন অবধি রাজনীতির দুনিয়ায় ভোট কুশলী হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রশান্ত। বহু দলের নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করে মসনদে বসিয়েছেন তিনি। তবে এবার সেই ব্যক্তি নিজে ভোট ময়দানে নামতে চলেছেন। গতকাল পিকে জানান, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Assembly Elections) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি।
প্রশান্ত আগেই বলেছিলেন, তিনি যখন ভোটে লড়বেন তখন লালু প্রসাদ যাদব কিংবা নীতিশ কুমারের মতো নেতারা তাঁকে ধাক্কা দিতে পারবেন না। উল্টে তাঁদের দাঁতে ব্যথা হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন পিকে। তাঁর কথায়, ‘জন সুরজ সমাজ জনগণের কথা বলবে। লালু প্রসাদ যাদব, নীতিশ কুমার আমায় ধাক্কা দিতে পারবে না’।
আরও পড়ুনঃ মোদীর পা ছুঁয়ে প্রণাম! ‘আপনার নেতৃত্বে সবাই কাজ করব’, সরকার গড়ার আগে বার্তা নীতিশের
প্রশান্ত বলেন, ‘আমি যদি বিহারে লড়ি, তাহলে এতটা শক্তি দিয়ে লড়াই করব যে এই সব নেতাদের দাঁত ভেঙে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে আমার কাজ নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন। সমাজে এমন বহু মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র লড়াই করার জন্য লড়ে’।
পিকের সংযোজন, ‘আমি বিহারের ছেলে। গোটা দেশের নেতারা যখন ভোটে লড়ার জন্য আমার কাছে পরামর্শ চান, তখন এই নেতারা আমায় নিয়েকী করবেন? সমাজের মানুষ যদি একবার উঠে দাঁড়ায়, তাহলে সেই শক্তির সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না। জনশক্তির সামনে আর কোনও শক্তিই দাঁড়াতে পারবে না’।
প্রশান্ত জানান, অনেক কিছু চিন্তা করেই তাঁরা এসেছেন। এই কাজটা যে কঠিন হবে সেই সম্বন্ধেও তাঁরা ওয়াকিবহাল। এর জন্য কতখানি শক্তি প্রয়োগ করতে হবে, কত ঘাম ঝরাতে হবে, সব কিছু জানা আছে তাঁর। সবটা ভেবেচিন্তেই তাঁরা বিহারে এসেছেন বলে জানান পিকে।