বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, রাজনৈতিক ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান করা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতি। প্রশান্ত কিশোর তথা পিকে-কে নিজেদের দলে টানার জন্য সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কংগ্রেস দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকল জল্পনায় জল ঢেলে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে ‘না’ করে দেন পিকে। আর এবার দেশের তৃতীয় ফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে শাসকদলের পদ থেকে সরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সকল বিরোধী দল। এক্ষেত্রে, কংগ্রেস দেশের প্রধান বিরোধী দল হলেও বর্তমানে তৃণমূল সহ অন্যান্য একাধিক আঞ্চলিক দলগুলিও নিজেদের স্থান মজবুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দলের বিস্তার ঘটাতে উদ্যোগী হন।
বর্তমানে এটি স্পষ্ট যে, বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসকে ছাড়াই একটি তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় আর এ দিন দেশের তৃতীয় ফ্রন্ট প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “দেশে যদি বিজেপিকে হারাতে হয়, তাহলে দ্বিতীয় ফ্রন্টই ভরসা। কোনো তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট দিয়ে শাসক দলকে পরাজিত করা সম্ভব নয়। আমরা যদি বিজেপিকে প্রথম ফ্রন্ট বা মোর্চা হিসেবে ধরি, তাহলে দ্বিতীয় ফন্ট হিসেবে কোনো দলকেই তাদের অবস্থান মজবুত করে তুলতে হবে। তবেই 2024 সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করার কথা ভাবা যেতে পারে।” অর্থাৎ এদিন তাঁর বক্তব্য থেকে এটাই পরিস্কার হলো যে, দেশে বিরোধী দলগুলো যতই তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে ব্যস্ত থাকুক না কেন, সে ক্ষেত্রে ভারতীয় জনতা পার্টির মত শক্তিশালী দলকে হারানো কোনোমতেই সম্ভব নয়।
এছাড়াও এদিন কংগ্রেস সম্পর্কে প্রশান্ত কিশোরকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে কংগ্রেসের তরফ থেকে দলে যোগদানের জন্য বলা হয়। তবে বর্তমানে যে কাজগুলির দরকার রয়েছে, সেটি তারাও করতে পারেন। ওই দলে অনেক বড় বড় নেতা রয়েছে, তাই আমি না করে দিই।” এছাড়াও তিনি বলেন, “দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বর্তমানে কংগ্রেস থাকলেও তারা কখনোই দেশের দ্বিতীয় মোর্চা নয়।”