‘উপনির্বাচনে জিততে পারেন না, আমাকে কী শেখাবেন!” নীতিশ-তেজস্বীকে তুমুল কটাক্ষ PK-র

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কুরহানি উপনির্বাচনে বিজেপির (BJP) কাছে শোচনীয় ভাবে হেরেছেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নীতিশ – তেজস্বী জুটিকে তোপ দাগলেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি দাবি করলেন আরজেডি (RJD) প্রেসিডেন্ট লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) ছাড়া তাঁর পুত্র তেজস্বী যাদবের কোনও ভূমিকাই নেই। তিনি আরও জানান, নীতিশ – তেজস্বী জুটি পরপর ৩ টি উপনির্বাচনে হারের মুখ দেখলো। এরপরই এই জুটিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।

প্রশান্ত কিশোর এই মুহুর্তে ‘জন সূরজ পদযাত্রা’ করছেন। গতকাল তার ৬৯তম দিন সম্পূর্ণ হয়েছে। এদিন নীতিশ – তেজস্বী জুটিকে কটাক্ষ করে পিকি বলেন, ‘এরা পরপর ৩টি উপনির্বাচন হেরে বসে আছে। আর আমাকে শেখায় কিভাবে নির্বাচনে জিততে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি তাঁদের সাহায্য না করলে তাঁরা কি জিততে পারত? তেজস্বী যাদব রাজনীতি বোঝেনই বা কতটুকু? ২০১৫ সালে তিনি প্রথম বার বিধায়ক হন। তাও লালু প্রসাদ যাদবের কৃপায়। তেজস্বীকে ২০১৫ সালের আগে চিনত কত জন?’

প্রশান্ত কিশোর এদিন মনে করিয়ে দেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তেজস্বী যাদব ঘোষণা করেন আরজেডি ক্ষমতায় এলে তিনি নাকি ১০ লক্ষ যুবককে চাকরি দেবেন। এবং সেই চাকরির ইস্তেহার তেজস্বী প্রথম ক্যাবিনেটের মিটিংয়েই প্রকাশ করবেন। পিকে উপহাস করে বলেন তেজস্বীর পেনের নিব ভেঙে গেছে অথবা কালি শুকিয়ে গেছে, তাই তিনি ১০ লক্ষ চাকরি এখনও দিতে পারছেন না।

এদিন বিহারের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়েও সরব হন পিকে। তিনি বলেন, ‘ লালু প্রসাদ এবং নীতিশ কুমারের রাজত্ব কালে ধ্বসে গিয়েছে বিহারের অর্থনীতি। এি রাজ্যের টাকায় মহারাষ্ট্র গুজরাটে ফুলে ফেঁপে উঠছে শিল্প। বিহারের ছেলেরা সেখানে যাচ্ছে চাকরি করতে। বিহারের নতুন উদ্যোগ তৈরির জন্য ব্যাঙ্ক লোন দেয়না। জাতীয় স্তরে ক্রেডিট লিমিট যেখানে ৭০ শতাংশ, বিহারে সেখানে মাত্র ৩৫ শতাংশ। লালু প্রসাদের আমলে তা ছিল ২০ শতাংশেরও নিচে।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর