বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলকে ঘর অস্বস্তিতে ফেললই রাজ্যেরই মন্ত্রী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে তো দেখাই যায় না। রাজ্যের দুই মন্ত্রীর মান-অভিমানে বিধানসভা ভোটের আগে কার্যত বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস।
গতকাল বাংলার একটি বিখ্যাত সংবাদমাধ্যমকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে আমাকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। যদিও ওনার অভিযোগ খারিজ করে হাওড়া জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরুপ রায় জানিয়েছেন যে, সবাইকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেউ বাদ পড়েন নি। তবে কে এসেছিল আর আসেনি সেটা আমার জানা নেই।
দলের মধ্যে কোন্দলের জল্পনা উড়িয়ে অরুপ রায় জানান, ১ লা জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অনেক নেতা মন্ত্রীরাই নিজের এলাকায় কর্মসূচীতে যোগ দেন। তাই তাঁদের আসা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তিনি দাবি করেন যে, দলের সবাই এক হয়েই কাজ করছে। কারোর সাথে কারোর দ্বন্দ নেই।
আরেকদিকে, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করে বলেন, আমি যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম তখনকার পরিস্থিতির সাথে এখনকার পরিস্থিতির অনেক পার্থক্য আছে। তিনি হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন যে, ওনাকে দলের সভাপতি করার পর জেলায় আর কোনও কমিটি গঠন করা হয়নি। তিনি বলেন দলের মধ্যেও ওনার কোনও কাজ তেমন ভাবে চোখে পড়ে না।
আরেকদিকে, প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা হাওড়া জেলার তৃণমূল সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা জানিয়েছেন যে, ওনাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দুদিনের মধ্যে কমিটির তালিকা প্রস্তুত করেছেন তিনি। এমনকি সেটি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি জানান তিনি। তবে এরপর কি হয়েছে, সেটা তিনি আর জানেন বলে জানান লক্ষ্মী। তবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নিয়ে এদিন তিনি মুখ খুলতে চান নি।