বাংলা হান্ট ডেস্ক : একটা সময় মনে হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের পর দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে দেশ। ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপির জয়লাভের পর তাঁর নামই ভেসে ওঠে সকলের আগে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্যকিছু। দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব আস্থা রাখলেন ডাঃ মানিক সাহা’তেই (Manik Saha)। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানিক সাহা শপথও নিয়ে নিয়েছেন।
অপরদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে থাকা ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রতিমা ভৌমিক’কে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীতেই রাখতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপি দলে শেষ সিদ্ধান্ত নেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আদেশকে শিরোধার্য করে দিল্লিতেই ফিরে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। বুধবার ধনপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়া প্রতিমা ভৌমিক পদত্যাগ করে দিল্লির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পদেই বহাল থাকবেন তিনি।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রতিমা ভৌমিকও। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মানিক সাহাতেই আস্থা রেখেছেন। দলীয় সূত্রে খবর এবার যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে দলকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছেন তার বেশিরভাগ কৃতিত্ব যায় ডাঃ মানিক সাহার কাছে। সর্বোপরি ব্যক্তি হিসাবেও সজ্জ্বন এবং স্বচ্ছ ইমেজের ছিলেন তিনি। যার কারণেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মানিক সাহার উপরই সমস্ত দায়িত্ব ছাড়তে চায়।
ধানপুর যা একসময় বামেদের দখলে ছিল কিন্তু সেখানে এখন উড়ছে গেরুয়া হাওয়া। রাজ্যের মুখ্যমন্ত হবেন কিনা এই বিষয়ে প্রতিমা বলেছেন, ‘পার্টি আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কৃষকের কন্যা হয়েছি। মোদি যদি সম্ভব হয় তবে এটি সম্ভব এবং সে কারণেই আমি এখানে আছি। পার্টি আমাকে যা বলে তা করতে আমি প্রস্তুত।’
বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরেই প্রতিমা দেবী বলেন, ‘আমি ধনপুরের বাসিন্দা এবং আমি দেখেছি যে কমিউনিস্টরা এই অঞ্চলে কোনও উন্নয়ন বিকাশ করেনি। গত পাঁচ বছরে আমরা কাজ দেখিয়েছি। ডাবল ইঞ্জিন সরকার কীভাবে কাজ করে তা এখন লোকেরা বুঝতে পেরেছে।’