বাংলা হান্ট ডেস্ক : কর্নাটকে (Karnataka) কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই সরকারি দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি থেকে অপসারণের কাজ শুরু করেছে। সেই নিয়ম মেনেই চাকরি গেল নিহত বিজেপি কর্মী প্রবীণ কুমার নেত্তারুর (Praveen Nettaru Murder Case) স্ত্রী নূতন কুমারীর। স্বামী প্রবীণের মৃত্যুর পর তাঁকে দক্ষিণ কন্নড় জেলায় সরকারি দফতরে গ্রুপ সি পদে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে নিয়োগ করেছিল বাসবরাজ বোম্মাই সরকার। সেই চাকরিই চলে গেল নূতনের।
দক্ষিণ কন্নড় জেলার ম্যাঙ্গালুরুর ডেপুটি কমিশনারে দফতরে সহকারী হিসাবে কাজ করতেন নূতন। অস্থায়ী পদে। কর্নাটকের নতুন কংগ্রেস সরকার রাজ্যের সমস্ত অস্থায়ী কর্মীর নিয়োগ খারিজ করে দেয়। সূত্রের খবর, বাকি অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে নূতনকেও চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়। সে সময় নিহতের স্ত্রীর জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
২০২২ সালের ২৬ জুলাই বিজেপি শাসিত কর্নাটকে দলের যুব শাখার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুর (Praveen Nettaru) খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাটি ঘটে কর্নাটকের (Karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুলিয়ায়। মৃত নেতা বিজেপির (BJP) যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মী বেল্লার এলাকায় একটি পোল্ট্রি দোকানের মালিক। দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় প্রবীণের উপর হামলায় চালানো হয়। হামলাকারীরা বাইকে করে এসে ছুরিকাঘাত করে ওই বিজেপি নেতাকে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
সক্রিয় বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষ। বিক্ষোভ থামাতে এবং এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিস এলাকার দোকান, হোটেল বন্ধ করে দেয়। খুনের প্রতিবাদে বুধবার বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো ২৬ জুলাই দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন প্রবীণ নেত্তারু। এই সময় মোটরবাইকে করে দু’জন লোক এসে তাঁর পথ আটকায়। ভয়ে পালানোর চেষ্টার করেন ওই বিজেপি নেতা। পালানোর সময় প্রবীণের মাথা লক্ষ্য ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা।
গুরুতর জখম অবস্থায় প্রবীণকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানে মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিস। খুনের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।