বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় ফের অ্যাকশনে ইডি (Enforcement Directorate)। কয়েকশো কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে এবার প্রয়াগ গ্রুপের (Prayag Group) ডিরেক্টরদের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টর, বাসুদেব বাগচী এবং অভীক বাগচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে খবর।
চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার প্রয়াগ গ্রুপের ২ ডিরেক্টর
ওড়িশায় দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৭ সালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াগ কর্তারা। এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ৭ বছর। বর্তমানে তাঁরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হলেন বাসুদেব এবং অভীক। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। আজ তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
জানা যাচ্ছে, আমানতকারীদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। গতকাল কলকাতা, দিল্লি সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। নিউ আলিপুর, বেহালায় প্রয়াগ কর্তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এরপরেই বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করে ইডি।
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষা…! DA নিয়ে নয়া আপডেট! কবে সুখবর পাবেন বাংলার সরকারি কর্মীরা?
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের নানান রাজ্যে প্রয়াগ গ্রুপ ছড়িয়ে রয়েছে। ওড়িশা, ত্রিপুরা, আসাম সহ পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব ভারতের নানান রাজ্যে ‘অস্তিত্ব’ রয়েছে এই সংস্থার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, আমজনতার কাছ থেকে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা তুলেছিল এই সংস্থা। নানান অবৈধ স্কিমের টোপ দেখিয়ে এই টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
সাধারণ মানুষের এই বিপুল পরিমাণ অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে প্রয়াগ গ্রুপের বিরুদ্ধে। এই অর্থ অন্যত্র কোথাও পাঠানো হয়েছে কিনা সেটা এবার খতিয়ে দেখবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রয়াগ কর্তাদের গ্রেফতারির এই খবরে ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার ডিরেক্টরদের যোগসূত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে। চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় এবার ইডির (Enforcement Directorate) হাতে গ্রেফতার হলেন সেই বাসুদেব এবং অভীক। এমতাবস্থায় মনে করা হচ্ছে, এই আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে রাজনীতির কোনও রকম যোগ রয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।