কসাইখানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে হাঁটু মুড়ে প্রাণভিক্ষা গর্ভবতী মহিষের! তারপরে যা ঘটল….

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীরই বেঁচে থাকার সমান অধিকার আছে। কিন্তু, কার্যত মানুষের জন্যই বেঁচে থাকার সেই অধিকার হারিয়ে ফেলে অনেকেই। মূলত, ক্রমশ উর্ধ্বমুখী জনসংখ্যার জন্য খাদ্যের চাহিদার যোগান দিতেই প্রতিদিনই লক্ষ লক্ষ প্রাণীকে প্রাণ হারাতে হায়। এমনকি, মাঝে মধ্যেই এই সংক্রান্ত নানান করুণ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা যায় যে, নিজের প্রাণ বাঁচাতে কার্যত করুণ আর্তি দেখা যায় অবলা প্রাণীগুলিদের।

সম্প্রতি ঠিক সেইরকমই এক ভিডিও ফের ভাইরাল হচ্ছে নেটমাধ্যমে। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক মহিষ কসাইখানায় যেতে না চেয়ে নিজের প্রাণ ভিক্ষা করছে এক ব্যক্তির কাছে। আর এই ভিডিওটিই রীতিমত কাঁদিয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের। পাশাপাশি, একটি অভিনব ঘটনাও ঘটে ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে।

আমরা সকলেই জানি যে, মায়েরা সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে উঠে তাঁর সন্তানদের রক্ষা করেন। এজন্য হাজারও দুঃখ-কষ্ট তাঁরা সহ্য করে নেন হাসিমুখে। এই ভিডিওটিতেও সেই ছবি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। মূলত, ভাইরাল এই ভিডিওটিতে থাকা মহিষটি গর্ভবতী ছিল। অর্থাৎ নিজের সন্তানকে রক্ষা করতেই সে বারংবার চোখের জলে বিভিন্নভাবে সেখানে থাকা ব্যক্তির কাছে প্রাণভিক্ষা করে।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি গর্ভবতী মহিষকে কসাইখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্যত হন এক ব্যক্তি। কিন্তু, কিছুতেই সেই মহিষটি সেখানে যেতে চায়নি। বরং চোখের জলে সে বারংবার বাঁচতে চেয়েছে। এমনকি, একটা সময়ে সে রীতিমত হাঁটু মুড়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে আর্জি জানাতে থাকে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই ভিডিওটি চিনের গুয়াংডংয়ের শান্তাউয়ে রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তা রীতিমত কাঁদিয়ে দেয় নেটিজেনদের। নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে এক অবলা মায়ের এই করুণ আর্তি দেখে নিজেদের ঠিক রাখতে পারেননি নেটিজেনরা। বরং, ওই মহিষটিকে বাঁচাতে এক অভিনব উপায় অবলম্বন করেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে যে, নেটিজেনরা নিজেরাই ওই গর্ভবতী প্রাণীটিকে বাঁচাতে প্রায় ২,৭০০ পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে ওই কসাইয়ের কাছ থেকে মহিষটিকে ছাড়িয়ে আনেন। শুধু তাই নয়, সেটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জিয়াংয়ের স্বর্ণ মন্দিরে রেখে দিয়ে আসা হয় বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর