মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেই উঠল প্রসব বেদনা! নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন শিক্ষকরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) অনেক স্কুলপড়ুয়াই আজ তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসেছে। সবার মতোই ১৬ বছরের এক নাবালিকাও মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) দিতে বসেছিল। কিন্তু কে জানত যে সে ইতিমধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা! এই অবস্থাতেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছিল সে। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীনই প্রসব বেদনা ওঠে তার। এমন পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন উপস্থিত শিক্ষকরা। 

আজ থেকে শুরু হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিনেই এমন ঘটনা ঘটেছে মালদহের (Malda) জহরাতলা হাইস্কুলে। পরীক্ষা দিতে বসে প্রসব বেদনায় কাবু হয়ে যায় ওই ছাত্রী। এর জেরে পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটে তার। এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যেও আক্ষেপ রয়েছে। তবে নাবালিকা মায়েদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ছবি অচেনা নয় মালদহে।

Teen pregnancy malda

এর আগেও একাধিক এমন ছবি উঠে এসেছে। এমনকী, সদ্যোজাতকে নিয়ে এক নাবালিকা মা হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মালদহের জহরাতলা হাইস্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছিল। আজ ছিল বাংলা পরীক্ষা। সেই জন্য পরীক্ষা দিতে প্রচুর পরীক্ষার্থী এসেছিল। তাদের মধ্যেই ছিল ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষার্থী। সে বিবাহিত এবং মাত্র ১৬ বছর বয়সেই মা হতে চলেছিল।

সমস্ত বাধা কাটিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসেছিল সে। কিন্তু পরীক্ষা দিতে বসতেই শুরু হয় প্রসব বেদনা। এর জেরে পরীক্ষাই দেওয়া হল না ওই ছাত্রীর। নাবালিকার এমন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন কর্তব্যরত শিক্ষকরা। ঘটনা প্রসঙ্গে জহরাতলা হাইস্কুলের সহ শিক্ষক গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, “মেয়েটি আমাদের স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। সে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ছিল।”

তিনি যোগ করেন, “মেয়েটির বয়স ১৬ বছর। আমরা অ্যাডমিট দেখে জানতে পারি। পরীক্ষায় বসে তার প্রসব বেদনা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিই। পরীক্ষা দিতে আসা বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে দেখলাম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।” নাবালিকা বিয়ে রুখতে সরকারের ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তা সত্ত্বেও নাবালিকাদের মা হওয়া আটকানো যাচ্ছে না। যা সত্যিই দুর্ভাগ্যের।

Subhraroop

সম্পর্কিত খবর