বাংলাহান্ট ডেস্ক : সন্তানের জন্ম কোথায় হবে? তার পরিবেশ কেমন? কিংবা হাসপাতালে ডাক্তারবাবু-নার্স দিদিরাইবা কেমন? এবার সেই সব কিছু নিজেদের চোখে ঘুরে দেখলেন গর্ভবতীরা। দেখার পর মনে মনে আশ্বস্তও হলেন তারা। কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ সাব ডিভিশন হাসপাতাল এবার এমনই একটি অভিনব ও ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিল। চিকিৎসক ও নার্সরা হবু মায়েদের নিয়ে আয়োজন করেছিলেন একটি পিকনিকেরও। চিকিৎসকদের উদ্যোগে হবু মায়েদের খাওয়ানো হল ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, চাটনি। শীতের সময়ে রীতিমত পিকনিকের চেহারা নিল হাসপাতাল চত্বর।
চিকিৎসকদের দাবি, প্রসূতিরা সাধারণত জেলা হাসপাতালে আসতে চান না। রোগীর পরিবারের দাবি হাসপাতালে নাকি অপরিচ্ছন্ন থাকে। সেই সব জায়গায় প্রসব হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই জেলা হাসপাতালের কথা শুনলে অনেকেই দুবার ভাবেন। কিন্তু জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, এখন এইসব হাসপাতালে পরিষেবা অনেক উন্নত মানের। এছাড়াও বেশ উন্নতি হয়েছে পরিকাঠামোর।
জেলা হাসপাতাল সম্পর্কে এই ভুল ধারণা কাটানোর জন্য এবার অভিনব উদ্যোগ নিলেন চিকিৎসকেরা। আশ্বাস দিলেন উন্নত পরিষেবার। এদিন ওই হাসপাতাল উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৭০ জন হবু মা। একইসাথে উপস্থিত ছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মেখনিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারি সহ হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক তাপস কুমার দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসক ও নার্সরা মিলে হবু মায়েদের ঘুরিয়ে দেখান হাসপাতাল চত্বর ও অপারেশন থিয়েটার।
মেখলিগঞ্জ সাব ডিভিশন হাসপাতালের সুপার ডাক্তার তাপস কুমার দাস বলেছেন, “অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা আছে জেলা হাসপাতাল সম্পর্কে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল সেই সব ভ্রান্ত ধারণা দূর করা। তাই আমরা হাসপাতাল চত্বর ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি আয়োজন করি পিকনিকের। পিকনিকের পাশাপাশি প্রসূতিরা ঘুরে দেখেন হাসপাতালের পরিবেশ, অপারেশন থিয়েটার। এদিন রক্ত সহ বিভিন্ন পরীক্ষাও করা হয় তাদের। রোগীর মনে যাতে সমস্ত রকম শঙ্কা দূর হয় তাই এই উদ্যোগ নিয়েছিলাম।”