বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামীকাল কলকাতার রেড রোডে মহাসাড়ম্বরে পালিত হবে দুর্গা পূজার বিসর্জনের কার্নিভাল। পাশাপাশি আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে প্রতিমা বিসর্জন কার্নিভালের। কিন্তু এই বছর দুর্গাপূজার কার্নিভাল দাঁড় করিয়েছে বেশ কিছু প্রশ্ন।একদিকে অসংখ্য মানুষের হাহাকার, অপরদিকে আলো -বাজনার সংমিশ্রণ। এমন “দশমী” হয়তো আগে দেখেনি বাংলা!
সম্প্রতি জলপাইগুড়ির মালবাজার এলাকায় বিসর্জনের সময় নদীতে হরপা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। মৃতের পরিজনেরা এখনো সেই ঘটনা ভেবে ফুঁপিয়ে উঠছেন। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে এক ভিন্ন হাহাকারের ছবি। প্রায় দেড় বছর ধরে নিজেদের চাকরির অধিকারে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরি প্রার্থীরা। যে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ একে অপরের থেকে দীর্ঘ দূরত্ব অবস্থিত, সেখানেই যেন বঙ্গেকে কাছে এনে দিয়েছেন এঁরা।
মালবাজারের দুর্ঘটনার পর, পুজোর কার্নিভাল জলপাইগুড়ি শহরে স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হবে পুজোর কার্নিভাল। এই ব্যাপারে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পুজোর ভাসানে গিয়ে যেখানে এতগুলো মানুষ প্রাণ হারালেন সেখানে এই ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান কতটা শোভনীয়?
উত্তরবঙ্গের বহু বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, লেখক জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে পুজো কার্নিভাল করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। মালবাজার থেকে কলকাতায় চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চ, যেখানে এতগুলো নাগরিক দিনের পর দিন চোখের জল ফেলছেন, সেখানে এই ধরনের কার্নিভাল যথেষ্ট অশোভনীয়। গোটা পরিস্থিতি দেখে অনেকে আবার বলছেন, এবারের মত “বিজয়ার” পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়তো এর আগে বাংলা কখনো হয়নি।