বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের দ্বীপ রাষ্ট্র মলদ্বীপ (Maldives) আর্থিক সমস্যায় জেরবার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সে দেশের বিনিয়োগকারীরা বিক্রি করে দিচ্ছেন সুকুক বন্ড। যার জেরে আর্থিক অবস্থা আরো অবনতি হয়েছে এই দ্বীপ রাষ্ট্রের।ইসলামিক বন্ড নামেও পরিচিতি রয়েছে সুকুক বন্ডের। সাধারণত ইসলামিক দেশগুলিতে প্রচলিত রয়েছে শরিয়া আইন মেনে তৈরি হওয়া এই বন্ড।
মলদ্বীপের (Maldives) বর্তমান অবস্থা
সুকুক বন্ডের চাহিদা গত এক দশকে বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। তবে সম্প্রতি সুুকুক বন্ডের মূল্য আমেরিকান ডলারের চেয়ে ৭০ সেন্ট করে হ্রাস পেয়েছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী দিনে আরো পড়তে পারে এই দাম। যার জেরে মলদ্বীপ দেউলিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা অনেকের। তাই মলদ্বীপে সুকুক বন্ড বিক্রির ধুম লেগে গেছে। আর এতেই মলদ্বীপের আর্থিক অবস্থা টালমাটাল।
সূত্রের খবর, ক্রমাগত বিদেশী মুদ্রার ভান্ডার কমছে মলদ্বীপে। রাষ্ট্রের কোষাগার থেকে প্রায় নিঃশেষ হয়ে গেছে ব্যবহারযোগ্য ডলার। এই আবহে বিনিয়োগকারীরা সুকুক বন্ড বিক্রি করে দেওয়ার ফলে রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মুইজ্জু সরকারের। ২০২৬ সালে যে সুকুক বন্ডগুলির ম্যাচিওর হওয়ার কথা, সেগুলির জন্য সরকারের প্রয়োজন ৫০ কোটি ডলার।
আরোও পড়ুন : এবারে সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে রাজকীয় “এন্ট্রি” আদানির! এই রাজ্যে করলেন ৮৩,৯৪৭ কোটির বিনিয়োগ
তবে আমেরিকান ডলারের থেকে সুকুক বন্ডের দাম হ্রাস পাওয়ায় চিন্তা বাড়িয়েছে সরকারের। কারণ প্রচুর বিনিয়োগকারী মেয়াদ পূর্তির আগেই বিক্রি করে দিচ্ছেন বন্ড। ড্যান্সকে ব্যাঙ্কের এক পোর্টফোলিয়ো ম্যানেজার সোয়েরেন মোরচে জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা গ্রীষ্মের শুরুতে বেশির ভাগ বন্ড বিক্রি করেছিলাম। যেহেতু মলদ্বীপের হাতে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার কমছে, তাই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত। পুরো বিষয়টি স্পষ্টতই খারাপের দিকে যাচ্ছে।’’
এই অবস্থায় মলদ্বীপকে সাহায্য করতে পারে বন্ধু দেশ ভারত (India) বা চীন (China)। তবে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই বিপুল পরিমাণ চীনা ঋণের দায় রয়েছে মলদ্বীপের উপর। সেক্ষেত্রে এই দ্বীপ রাষ্ট্র সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে পারে ভারতের দিকে। তবে ভারত মলদ্বীপের ডাকে সাড়া দেবে কিনা এখন সেটাই দেখার।