বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার দেশের ৫২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন জাস্টিস বি আর গাভাই (CJI BR Gavai)। আর তারপরেই বড় ‘পরীক্ষা’র মুখে পড়তে চলেছেন তিনি! এবার নজিরবিহীনভাবে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) ১৪টি প্রশ্ন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। ভারতীয় সংবিধানের ১৪৩ ধারা ব্যবহার করে এই প্রশ্নগুলি করেছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) কী কী প্রশ্ন করলেন রাষ্ট্রপতি?
গত এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল এদেশের সর্বোচ্চ আদালত। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জলঘোলা হয়েছিল। শীর্ষ আদালতের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, আইনসভায় পাশ হয়ে যাওয়া কোনও বিল রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল কেউই অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট বিল নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে? বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জানা যাচ্ছে, এমনিতে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালকে শীর্ষ আদালত এভাবে ‘নির্দেশ’ দিতে পারে না। তবে সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদ বলছে, ‘সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ রায় দিতে বাধা নেই। বিল পাশ করানো নিয়ে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত এমনটাই করেছে।
আরও পড়ুনঃ লড়াই শেষ! প্রয়াত তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা, জীবনযুদ্ধে হার মানলেন তৃণমূল MLA
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের মতো রাষ্ট্রপতিকেও ‘বিশেষ ক্ষমতা’ দিয়েছে সংবিধান। ১৪৩ ধারা অনুসারে শীর্ষ আদালতের যে কোনও রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন দেশের রাষ্ট্রপতি। এবার সেই বিশেষ ক্ষমতাবলেই এদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ১৪টি প্রশ্ন করেছেন তিনি।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, শীর্ষ আদালত কীভাবে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে বিল পাশের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে? সুপ্রিম রায়ে কি রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে না? শীর্ষ আদালতের যে বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে, সেটিকে কি রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে? কোনও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে বিচারবিভাগ কি আদৌ হস্তক্ষেপ করতে পারে? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন করেছেন রাষ্ট্রপতি।
জানা যাচ্ছে, নিয়ম অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে হবে। সেই বেঞ্চে অন্তত পাঁচ জন সদস্য থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের পরামর্শ মেনে সকল প্রশ্নের উত্তর দেবেন এদেশের নতুন প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই। এবার এই ‘ইস্যু’ কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।