রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পূর্বে বিরোধী শিবিরে বড় ধাক্কা! দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের দিকে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যশবন্ত সিনহাকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারবে বিরোধী শিবির, এহেন আশা করা হলেও বর্তমানে সেই আশাতেই একপ্রকার জল ঢেলে দিল বিরোধী জোটেরই একাংশ। বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করার পরমুহূর্তেই গতকাল বিজেপি দ্বারা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই বিজেপির প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে নবীন পট্টনায়কের দল বিজেডি আর এবার তাদের পথে হাঁটার দিকেই সম্ভাবনা জাহির করল জেএমএম। একইসঙ্গে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দাবি, তারা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করতে চলেছেন। স্বভাবতই, এই সকল ঘটনার দরুণ বর্তমানে যথেষ্ট ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, জেএমএম-এর শিবু সোরেন এবং হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুর। ঝাড়খণ্ডে রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত থাকার সময়কালেই এই সুসম্পর্কের সূচনা হয়। অবশ্য শুধুমাত্র সুসম্পর্কের জন্য নয়, রাজ্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মন জয়ও যে বর্তমানে অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা বলাবাহুল্য।

এদিন উড়িষ্যার শাসক দল বিজেডি-ও দ্রৌপদীকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন আর এরপরেই জেএমএময়ের এক শীর্ষ নেতার তরফ থেকে জানানো হয়, “আদিবাসীদের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমাদের দলের নাম রয়েছে আর আমরা সেটাকে হারাতে চাই না।”

IMG 20220622 175142

প্রসঙ্গত, যশবন্ত সিনহার নাম সর্বসম্মতভাবে নেওয়ার পেছনে বড় হাত ছিল ঝাড়খণ্ডের শাসকদলের। তবে বর্তমানে বিরোধী শিবিরের অঙ্কের তুলনায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা জয় করাই তাদের কাছে প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অপরদিকে, বিজেপির শরিক দল হলেও নীতীশ কুমার শেষ পর্যন্ত দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেন কিনা, সে বিষয়টি বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এদিন বিজেপি প্রার্থীকেই সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ফলে এসকল কারণে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়লাভ বিজেপির জন্য অনেকটা সুবিধা হয়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর