বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলকে (all india trinamool congress) আক্রমণ করলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য বিজেপির (bharatiya janata party) মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজা চক্রবর্তী (tanuja chakraborty)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পকে ‘ফাঁদ’ বলে ব্যাখ্যা করে, আক্রান্ত হলে বিজেপি কর্মীদেরও পালটা মার দেওয়ার নিদান দিলেন তিনি।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির সংগঠেন ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। বিশেষত কলকাতা পুরভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ায়, এমনটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই রদবদলের তালিকায় অগ্নিমিত্রা পালকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী করা হয় তনুজা চক্রবর্তীকে।
নতুন দায়িত্ব হাতে পেয়ে এক সংবাদ সাক্ষাৎকারে তনুজা চক্রবর্তী বলেন, ‘দেখুন আমরা রাজনীতির কর্মী। মানুষের সুসময়, দুঃসময়, অসময় বলে কোন কথা হয় না। মাঠে ঘাটে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করবেন রাজনৈতিক কর্মীারা। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ”লক্ষ্মীর ভান্ডার” হচ্ছে ৫০০ টাকা। কিন্তু গোয়ায় গিয়ে উনি ৫০০০ টাকা বলছেন। এই যে একটা ”ফাঁদ”, ঠকিয়ে দেওয়ার ”ফাঁদ”, তাহলে বাংলার মহিলাদের কেন ৫০০০ টাকা দেবেন না? আর এটা তৃণমূল কর্মীরাই পাচ্ছেন, অন্যরা পাচ্ছেন না’।
তিনি আরও বলেন, ‘৫০০ টাকা মাসে, মানে দৈনিক ১৬.৬৬ টাকা। আমাদের কাছে এটাই চ্যালেঞ্জ, বাংলার মহিলাদের কাছে আমরা মহিলা মোর্চা এগিয়ে গিয়ে বলব- তাঁদের এই ১৬.৬৬ টাকা প্রয়োজন নাকি তাঁদের পরিবারের শিক্ষিত মানুষেরা এগিয়ে গিয়ে কোন চাকরী করুক?’
কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁকে বলব না যে মুখের রক্ত মুছে, আবারও সেই জায়গায় দাঁড়াতে। সে যদি নিজের আত্মরক্ষা করতে পারে, তাহলে তাঁকে ওয়েলকাম। আত্মরক্ষা করার জন্য যা যা স্টেপ নেওয়া দরকার, তাঁকে তাই নিতে হবে’।
৫ বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরোনর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মতুয়া ভাই বোনেরা আমাদের পাশে আছে, আমরা এর প্রমাণও পেয়েছি। তবে কেউ কিছু আলোচনা করলে, সেটা বিশ্বাস করে মেনে নেওয়া যায় না যে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন। হয়ত কোন টেকনিক্যাল সমস্যাও হতে পারে’।