বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্বকাপের মঞ্চকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই রকম একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়েছিল বিশ্ববাসীকে ‘শান্তির বার্তা’ দিতে চেয়েছিলেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানা যাচ্ছে, আজ রবিবার ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সাহায্যে মাধ্যমে ছোট্ট একটি বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ইউক্রেনের সেই অনুরোধ এক বাক্যে নাকচ করে দিল ফিফা। বিশ্বকাপের মঞ্চকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হোক তা কোনও ভাবেই চাইছেন না ফিফা (FIFA) প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো।
প্রায় ১১ মাস হতে চলল ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার (Russia) আক্রমণের। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন হামলা করে ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) রাশিয়া। শুরু হয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। গোটা ইউক্রেন জুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ সেনা। সাধারণ বসতি এলাকা, হাসপাতাল, স্কুলেও রাশিয়া গোলাবর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এমন ভয়ংকর পরিস্থিতিতে হাজার প্রতিকূলতাকে জয় করে সামরিক ও কুটনৈতিক ক্ষেত্রে অসম লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ৪৪ বছরের জেলেনস্কি। রাষ্ট্রপতির উপর ভরসা রেখে বহু সাধারণ ইউক্রেনবাসীকে খালি হাতে রুশ সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে দেখা গিয়েছে।
যুদ্ধ যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা নিজের চোখে দেখেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেদেশের আধিকারিকদের দাবি, ফিফার আন্তর্জাতিক মঞ্চকে ব্যবহার করে তাই বিশ্ববাসীর কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চান জেলেনস্কি। রাশিয়ান সেনা কীভাবে সাধারণ ইউক্রেনবাসীর উপর নির্যাতন চালাচ্ছে, সেটাও নাকি তুলে ধরতে চাইছিলেন তিনি। কিন্তু সে অনুরোধ গ্রাহ্য হল না।
কিন্তু ফিফার মনে করছে জেলেনস্কি বিশ্বকাপের (FIFA World Cup) মঞ্চকে রাশিয়া বিরোধী প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে চাইছেন। সেটার অনুমতি দিলে হয়ত ফিফার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠবে ভবিষ্যতে। তাছাড়া আকারণে একটা বিতর্কে জড়িয়ে যাবে বিশ্বকাপ। তাই ইউক্রেন রাষ্ট্রপতির অনুরোধ নাকচ করে দেওয়া হয় ফিফার তরফে। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনো (Gianni Infantino) জানান, ‘ফিফা আন্তর্জাতিক সংগঠন। আমরা কখনই কোনও বিষয়ে কাউকে আলাদা চোখে দেখতে পারি না। আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।’