বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছিল সর্ষের তেল সহ বিভিন্ন ভোজ্য তেলের দাম। এমন অবস্থায় সাধারন মানুষকে খানিকটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে সরকার। ভোজ্য তেলের দামে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। ছাড় দেওয়া হয়েছে সর্ষে, চিনা বাদাম, তুলোর তেল সহ বিভিন্ন ভোজ্য তেলে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাজারে কতটা কমেছে ভোজ্য তেলের দাম।
ক্রমাগতম মূল্য বৃদ্ধির ফলে পকেটে টান পড়েছে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের। এরই মধ্যে ভোজ্য তেলের দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতে ২০২০ সাল নাগাদ ভোজ্য তেলের দাম লিটার প্রতি ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকার আশেপাশে ছিল। এরপর সেটি বাড়তে বাড়তে ২০০ টাকার গণ্ডিও পাড় করে ফেলে।
সর্ষের তেলের দাম কমেছে গোটা দেশেই। সর্ষের তেল প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা সস্তা হয়েছে কলকাতা, হাওড়ায়। বর্তমানে সর্ষের তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩,০০০-১৩,৫০০ টাকা প্রতি কুইন্টালে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সরকারি ওয়েবসাইটে নতুন দাম উল্লেখ করা হলেই তেলের দাম কমবে। তবে, সর্ষের তেলের পাশাপাশি রান্নার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য তেলের দামেও বদল এসেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞের মতে লিটার প্রতি ৭০ টাকা পর্যন্ত দাম কমতে পারে সর্ষের তেলের (Mustard Oil)। তেলের পাশাপাশি সর্ষে বীজেরও (Mustard Seeds) দামে বেশ বড়সড় পরিবর্তন হয়েছে। বেশ খানিকটা দাম কমেছে বলেই জানা গিয়েছে। সর্ষে বীজ বিক্রি হচ্ছে ৬৬২০ থেকে ৬৬৭০ টাকা কুইন্টালে। ৬৬০৫ থেকে ৬৬৬৫ টাকা কুইন্টালে বিক্রি হচ্ছে চিনা বাদাম।
একনজরে কোন তেলের কত দাম:
• পরিশোধিত চিনাবাদাম তেল : ২,৪৬৫-২,৭৩০ টাকা টিন পিছু দাম
• পাক্কি ঘানি সর্ষের তেল : ১,১৯৫-২,১২৫ টাকা প্রতি টিন।
• কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল : টিন প্রতি ২,০৫৫-২,১৮০ টাকা।
• তিল তেল : ১৮,৯০০-২১,০০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
• সয়াবিন তেল : ১৩,০৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল।
• কটনসিড মিল ডেলিভারি : ১২,৯০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল।