বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাজারে বাজারে বৃষ্টি হলো ইলিশের। ফলে এক লাফে দাম কমে গেলো অনেকটাই। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত মধ্যবিত্ত বাঙালির ইলিশ মাছের নাম শুনলেই হাতে ছ্যাঁকা লাগছিল। অবশেষে বাঙালির মুখে হাসি ফুটলো। দিঘায় উঠল ইলিশ। ১২ টন ইলিশ উঠেছে দিঘা মোহনায়। তবে ইলিশের দেখা মিললেও মুখভার মৎস্যজীবী থেকে ব্যবসায়ীদের। কারণ গতবারের তুলনায় ইলিশের পরিমাণ খুবই কম। সোমবার ইদের দিনে ৫০০-৬০০ গ্রামের যে ইলিশের বাজার দর ছিল ৮০০ টাকা, বুধবার সেই ইলিশ ৫০০-৬০০ টাকা কিলো। তবে বড় ইলিশের বাজার দর একই রয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ এতো ইলিশ জোগানের রহস্য কি ? ফরাক্কার পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী রণজিৎ সরকার বলছেন, “দিঘা-সহ সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় গত দু’দিনে অন্তত ২০ টন ইলিশ ধরা পড়েছে। এত দিন যা অমিল ছিল। ইলিশেরই আমদানি হয়েছে জেলার বিভিন্ন বাজারে। তবে সেই সব ইলিশ ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের বেশি নয়। ছোট ইলিশের দাম কমেছে প্রায় ৩০০ টাকা।’’ তবে বাজারে বড় ইলিশের জোগান এখনও নেই বললেই চলে।
সাগরদিঘির পাইকারি মাছ ব্যবসায়ী সোমনাথ ঘোষ জানালেন, ‘‘বাংলাদেশেও এখন প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গত ৬৫ দিন ধরে বাংলাদেশে ইলিশ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত ২৩ জুলাই ওই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে সেখানেও ইলিশের জোগান বেড়েছে। ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পদ্মার ইলিশও বাজারে আসতে শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে পুজোর মুখে চাহিদা অনুযায়ী
ইলিশ মিলবে।’’
আগামি ৭ দিন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ আমদানি হতে পারে। কারণ ইলশেগুঁড়ি বৃ্ষ্টিতে তৈরি হয়েছে ইলিশের অনুকূল আবহাওয়া। তাই যোগান পর্যাপ্ত থাকলে পরের দিকে ধীরে ধীরে দাম কমবে ইলিশ মাছের।