বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি জিএসটি পর্ষদের বৈঠকে বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর জিএসটি (GST) বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, দেশের বুকে একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে চলেছে। আর সেই জল্পনাই হলো সত্যি। আগামী 18 জুলাই থেকে চাল সহ অন্যান্য একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি দই, লস্যি এবং হাসপাতালের রুমের দাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে চলেছে। ইতিমধ্যেই মধ্যবিত্তের মাথায় হাত পড়েছে। এভাবে একের পর এক জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে কিভাবে দিন যাপন সম্ভব হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় গোটা দেশবাসী।
তবে শুধুমাত্র চাল কিংবা হাসপাতালের ঘর নয়, এছাড়াও দুগ্ধজাত পণ্য, ছাপার কালি থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক যন্ত্রপাতি এবং হোটেলের ঘরের দাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এক্ষেত্রে জিএসটি হারের বৃদ্ধিকেই এর কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে।
সুত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, আগামী ১৮ই জুলাই থেকে প্যাকেটজাত দই এবং লস্যির ওপর জিএসটির হার পাঁচ শতাংশ হতে চলেছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি এক হাজার টাকার ওপর কোনো হোটেলের রুম বুক করতে চান, তবে ১২ শতাংশ জিএসটি গুনতে হবে। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা দরের হাসপাতালের ঘরের উপর দিতে হবে পাঁচ শতাংশ জিএসটি।
ছাড় নেই ব্যাঙ্কের চেক বুকেও! এক্ষেত্রে ১৮% জিএসটি লাগবে। একই পরিমাণে ট্যাক্স ধার্য করা হতে চলেছে ছাপার কালী, ব্লেড, ছুড়ি, চামচ, এলইডি লাইট এবং ল্যাম্পের ওপরেও। এছাড়াও বৈদ্যুতিক ল্যাম্প থেকে শুরু করে একাধিক যন্ত্রপাতি উপরেও জিএসটি বসতে চলেছে। অপরদিকে হিটার এবং ছাপা যন্ত্রপাতির ওপর ১২ শতাংশ জিএসটি গুনতে হবে জনসাধারণকে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘোষণার পর চিন্তায় দেশবাসী। যেভাবে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে দেশের অর্থনীতি, সেই প্রভাব ভারতেও পড়বে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান সকলে আর বর্তমানে বর্ধিত জিএসটি তাদের সেই চিন্তা আরো বহুগুণে বাড়ালো বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।