বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির আবহেই এবার মধ্যবিত্তদের জন্য এল দারুণ সুখবর! দাম কমাতে এবার ডাল এবং পাম তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণা করেছে সরকার। খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়, সরকার অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা থেকে ডালের আমদানি শুল্ক শূন্যে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডালের আমদানি শুল্ক ৩০% থেকে কমিয়ে ২২% করেছে। এছাড়াও, সরকার অপরিশোধিত পাম তেলের উপর সেসও ৭.৫% থেকে কমিয়ে ৫% করেছে।
এদিকে, গত নভেম্বরে কিছুটা কমে গেলেও ঠিক তার পরই রান্নার তেলের দামও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই সর্ষের তেলের মূল্য কেজি প্রতি ১৭৫ টাকার সর্বকালের সর্বোচ্চ দাম ছুঁয়েছে। যদিও, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদানি করা পাম তেলের উপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে অভ্যন্তরীণ পরিশোধন ৬০% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ অপরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে শুল্ক পার্থক্য ৫.৫% থেকে ৮.২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে৷
ইকোনমিক টাইমস অনুসারে, পরামর্শক সংস্থা সানউইন গ্রুপের সিইও সন্দীপ বাজোরিয়া জানিয়েছেন যে, নভেম্বর পর্যন্ত দেশীয় ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ১০% থেকে ১২ শতাংশে কমেছে। তবে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার পাশাপাশি, ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল রপ্তানি নীতির পরিবর্তন এবং দক্ষিণ আমেরিকায় সয়াবিনের ফসল নিয়ে উদ্বেগ আবারও দামকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে, আশা করা হচ্ছে যে, অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত পাম তেলের বর্তমান আমদানি অনুপাত যথাক্রমে ৫০:৫০, যা এখন অপরিশোধিত পাম তেলের পক্ষে স্থানান্তরিত হবে। এই প্রসঙ্গে বাজোরিয়া জানিয়েছেন যে, “অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে শুল্কের পার্থক্য বৃদ্ধি স্থানীয় পরিশোধনকে উৎসাহিত করবে। আমরা আশা করি, আমদানি এখন যথাক্রমে ৮০:২০ অনুপাতে অপরিশোধিত এবং পরিশোধিত পাম তেলের মধ্যে থাকবে।”
এদিকে, মসুর ডাল আমদানি সহজ করার জন্য ভারতের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ায় প্রশংসিত হয়েছে। এটাই ভারতে মসুর ডাল আমদানির সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, অস্ট্রেলিয়ান কৃষকরাও ভালো লাভ পাচ্ছেন এতে।
পাশাপাশি, সরকারের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। বর্তমানে, ডালের ঘরোয়া দাম প্রতি কেজিতে ৭০-৭৩ টাকায় চলছে। যেখানে সর্বনিম্ন সমর্থন মূল্য প্রতি কেজি ৬৪ টাকা। পাশাপাশি, চলতি মাসে রবি ডালের ফসল কাটা শুরু হলেও শুল্ক কমানোর সময় নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও, সরকারের এই পদক্ষেপ দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।