ফের অ্যাকশনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! কেন নির্দেশ মানেননি? তড়িঘড়ি আদালতে পর্ষদ সভাপতি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের টেট সংক্রান্ত মামলার জের। আদালতের প্রায় ১ মাস আগে নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি। এই অভিযোগ নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন টেট-উত্তীর্ণ (TET) এক যুবক। তার অভিযোগ শুনেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে (Primary Education Council President Goutam Pal) আদালতে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আজ দুপুর ৩টায় তাকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

সূত্রের খবর জরুরি তলব পেয়ে ঠিক সময়েই কলকাতা হাই কোর্টে আসেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। আদালত সূত্রে খবর, মামলাকারী ওই যুবক ২০১৬ সালের টেট পরীক্ষা দেন। প্রাথমিকভাবে তিনি উত্তীর্ণ হননি বলে জানলেও পরে জানা যায়, তিনি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০২০ সালে ওই পরীক্ষার নিযোগ পক্রিয়া শুরু হয়।

এরপরেই ন্যায্য দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলা উঠলে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারীকে ইন্টারভিউতে ডাকার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সভাপতিকে নির্দেশ। তবে সেই ঘটনার ঘটনার পর একমাস পেরিয়ে গেলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পর্ষদ।

high court

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই অভিযোগ জমা পড়তেই পর্ষদের আইনজীবী কাছে ওই যুবককে ইন্টারভিউতে কেন ডাকা হয়নি সেই প্রশ্ন করেন। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান পর্ষদের আইনজীবী। এরপর বিচারপতি জানতে চান, সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছে কিনা।

বিচারপতিরে প্রশ্নের জবাবে প্রথমে পর্ষদের আইনজীবী জানান যে কোনও চ্যালেঞ্জ করা হয়নি। কিন্তু পরে আবার তিনি জানান এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর বিচারপতি বলেন, ‘‘ডিভিশন বেঞ্চে যে মামলা হয়েছে, তার নম্বর দিন। আমি নির্দেশ নামায় উল্লেখ করব।’’

তবে মামলার নম্বর বলতে পারেননি পর্ষদের আইনজীবী। এরপরই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে দুপুর ৩টের মধ্যে আদালতে তলব করেন বিচারপতি। মনে করা হচ্ছে মামলাটি সত্যিই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে কি না সেই বিষয় সঠিকভাবে জানতেই পর্ষদের সভাপতিকে ডাকা হয়। সেই মতোই হাজিরা দেন তিনি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর