এবার কমবে স্কুল ছুট! প্রতি মাসে জন্মদিন পালন হবে স্কুলে, কেক-পায়েশ আর মাংস ভাতে এলাহী আয়োজন

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছরে রাজ্য (West Bengal) জুড়ে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। এমনকি প্রাথমিক স্তরে অধিকাংশ সরকারি স্কুল গুলিতে রয়েছেন নম মাত্র পড়ুয়া। তবে এই স্কুলছুট কমাতে এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল বাংলারই  একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে একাধিক সরকারি প্রকল্পের পাশাপাশি বহু বছর ধরে রাজ্যে চালু রয়েছে মিডডে মিলের ব্যবস্থা। আজকের দিনেও রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েদের কাছে এই মিডডে মিলের  খাওয়ার অত্যন্ত প্রিয়।

প্রতিমাসে জন্মদিন পালনের উদ্যোগ বাংলার (West Bengal) এই স্কুলে

অভাবের সংসারে গরম ভাত, মুরগির ঝোল যেন অমৃত। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের এমনই সব ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে এবার এক দারুণ মানবিক উদ্যোগ নিল বাঁকুড়া শহরের কেন্দুয়াডিহি, নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। মিড ডে মিলের খাওয়া ছাড়াও এই স্কুলের দিদিমণিরা তাঁদের স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রত্যেক মাসে জন্মদিন পালন করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: নেত্রীর অসম্মানে গায়ে জ্বালা ধরে না? এবার অন্তত…, কাকে নিশানা দেবাংশুর?

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন তাঁদের স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়ার বাবা-মায়ের দিন খাওয়া সংসার। তাই তাঁদের কাছে ছেলেমেয়েদের জন্মদিন পালন করা যেন বিলাসিতা। কিন্তু বাড়ির লোকজন না পারলে কি হয়েছে স্কুল তো আছে। তাই এবার স্কুল কর্তৃপক্ষই কচিকাঁচাদের জন্মদিন পালন করার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রত্যেক মাসেই এভাবেই প্রত্যেকের জন্মদিন পালন করা হবে স্কুলে, এর ফলে বাচ্চাদের আর স্কুলের প্রতি টান বাড়বে তেমনই কমবে স্কুল ছুটের সংখ্যা।

School Education Department Primary school
বাঁকুড়ার এই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ঠিক করেছেন প্রত্যেক মাসে যত জন পড়ুয়ার জন্মদিন থাকবে তাদের সকলের জন্মদিন একসাথে পালন করা হবে ওই মাসের শেষ শনিবার। যেমন কথা তেমন কাজ! জানা যাচ্ছে, মার্চ মাসেও ওই স্কুলের ১০ জন পড়ুয়ার জন্মদিন ছিল। এই শনিবারই তাদের সবাইকে নিয়ে কেক কাটা হয়েছে স্কুলে। সঙ্গে পায়েস তো ছিলই, তাছাড়া  দুপুরের খাওয়ার জন্যও ছিল এলাহী ব্যবস্থা। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, আলু পোস্ত, মুরগির মাংস, চাটনি, আর শেষ পাতে মিষ্টি।

Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X