বাংলাহান্ট– রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষাদপ্তর ঠিক করেছিল ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকেই প্রাথমিক শিক্ষার সাথে যুক্ত হবে পঞ্চম শ্রেণি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আগ্রহ বৃদ্ধি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছি স্কুল শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু বাস্তবে রাজ্যের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। পরিকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষক সংখ্যা বিদ্যালয়গুলির দৈন্যদশা চোখে পড়বার মত। এহেন পরিস্থিতিতেই নির্দেশ এসেছে প্রাথমিকের সাথে পঞ্চম শ্রেনি যুক্ত করার। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের এক অংশ।
শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী এবিষয়ে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ২০২০ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ১৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করেছে৷ বহু ক্ষেত্রে মাত্র ২ থেকে ৩ জন শিক্ষক আছে এমন প্রাইমারি স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত করা হলেও ৮-৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন সেই সমস্ত স্কুলগুলিতে তা হয়নি৷ এরফলে শিক্ষার মান তো বাড়বেই না বরং বেসরকারি শিক্ষাকেন্দ্রের ওপর অভিভাবকরা আরো বেশী নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। মাত্র ২-৩ জন শিক্ষক রয়েছে এমন বিদ্যালয়গুলিতে কিভাবে ৫টি শ্রেণিতে পাঠদান করা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
২০০৯-এর শিক্ষার অধিকার আইন (আরটিই) মোতাবেক, দেশের সব রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি সংযুক্তিকরণের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও মণিপুরের মতো কয়েকটি রাজ্যে এখনও তা সম্ভব হয়নি। রাজ্যে দীর্ঘ দিনের প্রথা মেনেই পঞ্চম শ্রেণি উচ্চপ্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা