বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসির (SSC Recruitment Scam) পর এবার প্রাথমিক (TET Scam)। প্রাথমিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি ঝুলে রয়েছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। নিয়োগে দুর্নীতির জেরে এই মামলায় এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে।
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের অগ্নিপরীক্ষা-TET Scam
সোমবার, ৭ এপ্রিল, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত মামলাটি তালিকাভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালে ৩৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ওই সংখ্যক চাকরি খারিজ করে দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় ডিভিশন বেঞ্চে।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ শুরু হয়। প্রায় ৪৩ হাজার জন চাকরি পান। তবে অভিযোগ ওঠে, চাকরিপ্রাপকদের মধ্যে ৩৬ হাজারই ‘অপ্রশিক্ষিত’। এরপর ২০২৩ সালের ওই ৩৬ হাজার শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা ঝুলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: কে যোগ্য, কে অযোগ্য? মমতার সঙ্গে বৈঠকের আগে হাতাহাতিতে জড়ালেন শিক্ষকরা! তোলপাড় কাণ্ড
এই মামলায় আগে ডিভিশন বেঞ্চ বরখাস্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। তবে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে একক বেঞ্চ যে রায় দেয় তা বহাল থাকে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলা। সর্বোচ্চ আদালত পুরোপুরি বাতিল হওয়ার আগে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। মামলা ফেরে উচ্চ আদালতেই।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে (SSC Recruitment Scam) SSC ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে একধাক্কায় চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬০০০ জনের। এরই মধ্যে এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা উঠবে হাইকোর্টে।