অযোগ্য, নেই নথি! তবুও করছে চাকরি! প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে এর আগেও একাধিকবার উঠে এসেছে দুর্নীতির গন্ধ। যার জেরে আদালত এবং বিরোধীদের কাছে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি টেট পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুক্রবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের একটি মামলায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরীক্ষার কোন বৈধ নথি ছাড়াই নাকি চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ১২ জন।

জানা গেছে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরবঙ্গে, স্বদেশ দাস নামের এক ব্যক্তি উত্তরবঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পান ২০১৯ সালে। নিয়োগপত্র পাওয়ার কিছুদিন পর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ডেকে পাঠানো হয় ওই শিক্ষককে। জমা দিতে বলা হয় নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র। দেখা যায় টেট যোগ্যতামান সংক্রান্ত প্রায় পাঁচটি নথি নেই ওই ব্যক্তির কাছে। এরপর আরও একদিন নথি পেশ করার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু সেদিনও ডিএসপির সামনে নথিপত্র পেশ করতে পারেননি স্বদেশ।

এরপরে চাকরি বাতিল করা হয় ওই প্রাথমিক শিক্ষকের। ডিপিএসসি-কেও লিখিতভাবে জানানো হয় কোন কোন নথি দেখাতে পারছেন না ঐ শিক্ষক। এরপর চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন ওই যুবক। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলার শুনানিতে শুক্রবার জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কোন ভুলের জন্য চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি কিন্তু একটি ভুলের কারণে চাকরি করার মত যোগ্যতা জন্মায় না। তখন ঐ ব্যক্তি জানান আরও ১১ জনের নাম তিনি জানেন যারা একইভাবে চাকরি করে চলেছেন।

674243 banerjeemamata 011018

সাথে সাথেই তাদের নাম এবং ঠিকানাও আদালতের কাছে পেশ করেন ওই যুবক। এই কান্ড দেখে বিচারপতি স্বাভাবিকভাবেই হতবাক হয়ে যান। ১২ জন যেহেতু সিঙ্গল বেঞ্চের অন্তর্ভুক্ত নন এই ঘটনা জানার পর এই মুহূর্তে জনস্বার্থ মামলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ফের একবার টেট সংক্রান্ত মামলায় উঠে এলো দুর্নীতির গন্ধ। এখন আগামী দিনে এই মামলার নির্দেশ কি হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।

 


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর