বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে (Pakistan) চরম দুর্ভোগে রয়েছেন মানুষ। ব্যাপক খাদ্য ও অর্থসঙ্কটে ভুগছে সে দেশ। রান্নার গ্যাসের একটি সিলিন্ডার সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার পাকিস্তানি টাকায়। তবে খোলা বাজারে নয়, কালো বাজারে বিক্রি হচ্ছে এটি। এক বস্তা আটার জন্য মারপিট হচ্ছে মানুষের মধ্যে। সেই দেশেরই পধানমন্ত্রীর (Shahbaz Sharif) সম্পত্তির পরিমাণ জানলে চমকে যাবেন সাধারণ পাকিস্তানিরা।
এই তথ্য দেখে দেশ জুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ব্যয় কমানোর দাবি উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, তাঁর বেসরকারি সম্পত্তি থেকে কাউকে সাহায্য করা না গেলে সেই সম্পত্তির প্রয়োজন কী? পাকিস্তান এমনিতেই চরম বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভুগছে। তার উপর নেতাদের ভুল নীতির খেসারতও দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সম্পত্তিতে কোনও ভাঁটা পড়েনি। একটি রিপোর্ট অনুসারে, দেশে তাঁর মোট ১০৮ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রয়েছে। একইসঙ্গে লন্ডনে প্রায় ১৫৩ মিলিয়ন ডলার সম্পদ রয়েছে। যা দেখে চমকে গিয়েছেন পাকিস্তানি আমজনতা। সরকারি বেতন হিসেবে তিনি পান প্রায় ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার পাকিস্তানি রুপি। মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় শাহবাজ শরীফের।
পাকিস্তান ও লন্ডন মিলিয়ে তাঁর কাছে মোট ২৬২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২২ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির সম্পত্তি রয়েছে। শাহবাজ শরীফের প্রথম স্ত্রী নুসরত শাহবাজ তাঁর থেকেও অনেক বেশি ধনী ছিলেন। তাঁর কাছে মোট ২৭৬ মিলিয়ন ডলার সম্পত্তি রয়েছে। শাহবাজের দ্বিতীয় স্ত্রী তেহমিনা দুরানিও বিপুল সম্পত্তির অধিকারী। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে পরিমাণ ৯.২৩ কোটি টাকা। এছাড়াও দু’টি বিলাসবহুল গাড়িও আছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অর্থের মামলায় ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ৭ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছেলে হামজার বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। শাহবাজ শরীফের ছেলে হামজা ১৬ এপ্রিল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এই পরিবারকে দেশের অন্যতম ধনী পরিবার হিসেবে ধরা হয়।