বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত-চীন নিয়ে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা।ভারত-চিন সম্পর্কে অন্যতম কাঁটা ‘আকসাই চিন’। চীনের একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইচ্যাট (Wechat),ভারতীয় দূতাবাসের সংঘর্ষের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংঘর্ষের বিবৃতি-সহ বর্তমান ভারতীয় সীমান্ত সংঘর্ষের আপডেটগুলি সরিয়ে দিয়েছে, যাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, এই ভারত-চীন লড়াইয়ে ২০ জন সেনা মারা গিয়েছেন। পদগুলি অপসারণের জন্য প্রদত্ত কারণগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা প্রকাশ এবং জাতীয় সুরক্ষা বিপন্ন করাই চীনের মূল লক্ষ্য।
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন উইচ্যাট-এ প্রকাশিত আপডেটগুলির মধ্যে ভারত-চীন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর মন্তব্য, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভারত-চীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপ এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রকের (এমইএ) মুখপাত্রের বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা ছিল বলে জানা গিয়েছে।
এর একদিন আগে এমইএর মুখপাত্রের একই বক্তব্য মুছে ফেলার পরে ইওআইকে তার চীনা টুইটারের মতো ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে একটি ব্যাখ্যা দিতে হয়েছিল। যেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের তখন তার পাঠকদের কাছে পরিষ্কার করে দিতে হয়েছিল যে, পোস্টটি তাদের জন্য সরানো হয়নি, এবং চীনা ভাষায় বিবৃতিটির একটি স্ক্রিনশট আবারও দিতে হয়েছিল। উইচ্যাট-এ দেওয়া বিবৃতিগুলি ইংরেজী ভাষায় ছিল, ইওআই-এর ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে পূর্ব লাদাখের সীমান্তে ঘটনাগুলির ভারতীয় মন্ত্রকের সংস্করণটির একটি চীনা সংস্করণ ছিল।
চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ করে ভারত সরকারের পোস্টগুলি অপসারণ পূর্বের লাদাখের গালওয়ান ভ্যালি অঞ্চলে ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সহিংস মুখোমুখি হওয়ার কথা সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, “যারা আমাদের জমিতে হানা দিয়েছিল, তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন আমাদের জওয়ানরা। আমি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই যে দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখবে না ভারতীয় সেনা। ১৬ বিহার রেজিমেন্টের বলিদানের কারণেই চিনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং ওইদিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় যে অপচেষ্টা করা হয়েছিল, তা বানচাল করা সম্ভব হয়েছে।” এদিন বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র অভিযোগ জানায়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ পূরণ করতেই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।