বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা এল মুম্বই পুলিশের কাছে। শনিবার সকালেই মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে ওই বার্তা পাঠানো হয় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, যে নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তাটি এসেছিল সেটি রাজস্থানের আজমেঢ় থেকে এসেছে। তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশের একটি দল রওয়ানা হয়েছে আজমেঢ়ে।
প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) খুনের হুমকি দিয়ে বার্তা
সংবাদ সংস্থার থেকে জানা গিয়েছে, মুম্বই এর ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে পাঠানো হয়েছিল বার্তাটি। হুমকি বার্তায় নাকি পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোদীর (Narendra Modi) প্রাণনাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের তরফে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, যে ব্যক্তি এই বার্তা পাঠিয়েছেন তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে।
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ: হুমকি বার্তা পাওয়ার পরেই মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি মত্ত অবস্থাতেও এই মেসেজ পাঠিয়ে থাকতে পারেন। এমন ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। গত মাসেও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে (Narendra Modi) প্রাণনাশের হুমকি বার্তা পাঠানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে ফোন গিয়েছিল মুম্বই পুলিশের কাছে।
আরো পড়ুন : ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পরিস্থিতি! বাংলাদেশে ফের হামলা ইসকনের মন্দিরে, পুড়ল লক্ষ্মী-নারায়ণের বিগ্রহ
আগেও এসেছে এমন বার্তা: ওই ঘটনায় বছর ৩৪ এর এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তারপরে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল যে তিনি মানসিক ভাবে সুস্থ নন। আবার অক্টোবর মাসেও পুণে পুলিশের কাছে একটি ফোন গিয়েছিল। ফোনে এক ব্যক্তি দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) খুন করার জন্য একটি ফ্ল্যাটে বসে পরিকল্পনা করছে দুষ্কৃতীরা। যদিও তদন্তে নেমে জানা যায় সেটি ছিল ভুয়ো ফোন। ওই ঘটনায় ৩৮ বছরের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
আরো পড়ুন : বছর ভরের বিনোদন এবার হাতের মুঠোয়, OTT-তে আসছে এই ৫ বলিউড ছবি, ভুলেও মিস করবেন না
শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নন। আরো একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বলিউড তারকাদের খুনের হুমকি দিয়েও ফোন আসে মুম্বই পুলিশের কাছে। কিছুদিন আগেই সলমন খানকে খুনের হুমকি দিয়ে মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে এসেছিল বার্তা।