এবার করোনার জেরে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকটের মোকাবিলায় ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জি-২০।সারা বিশ্ব জুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক করোনা। যার জেরে মানুষ আপাতত গৃহবন্দী। আর এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে গোটা দুনিয়া। কিন্তু এই এতোকিছু সমস্যা পেড়িয়েও ভারত এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কঠোরভাবে এই রোগের মোকাবিলা করে চলেছে।
স্টেজ থ্রি যাতে না হয় তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কারের দাবিও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই ভারতের প্রশংসা করেছে WHO। ভিডিও কনফারেন্স এ কথা বলার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী। কারণ করোনার ভাইরাসের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে ভারত প্রতিনিয়ত কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত ।
যদিও অনেকগুলি রাজ্য পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে, তবুও অনেক রাজ্যে কারফিউ আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের প্রশংসাও করেছে। এখনও পর্যন্ত করোনাতে প্রায় আক্রান্ত ৭০০ এর অধিক। আর ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ থাকার কারণে অর্থনীতি তলানিতে। চিকিত্সা গবেষণার ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলিকে আরও খোলামেলা মনোভাব দেখানোর কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই কনফারেন্স কলে ছিলেন পুতিন, ডোনাল্ড ট্রাম, আরো অনেকেই।
এই খারাপ পর্যায়ে সতর্কতা হিসাবে, ভারত সহ বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যে লক ডাউন করা হয়েছে। যাতে কেউ আসতে না পারে আর যেতে না পারে তার জন্য কঠোর আইন নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে এই পর্যায়ে না যায়।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান তিনি বলেছিলেন, “চীনের মতো ভারতও একটি বিশাল জনসংখ্যার দেশ। করোনার ভাইরাসের সুদূরপ্রসারী পরিণতি নির্ভর করবে বিশাল জনগোষ্ঠীযুক্ত দেশগুলি কী পদক্ষেপ নেয়”।
সারাদেশে চিকিত্সা পরিষেবা আরও জোরদার করা হয়েছে। সর্বত্র হাসপাতালে এর জন্য বিচ্ছিন্নতা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। করোনার ভাইরাস সংকট মোকাবেলা করার দক্ষতা প্রদান করে রায়ান বলেছিলেন যে আমরা বিশ্বাস করি যে ভারতের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ডাব্লুএইচও বলেছিল যে ভারতের লড়াইয়ের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত এবং কী হওয়া উচিত এবং কীভাবে করা যায় তা দেখানো উচিত। আর এই চরম পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পাশে দাড়ালো জাতি সংঘ ।